আগের ম্যাচেই ফরচুন বরিশালকে দুর্দান্ত একটা জয় এনে দিয়েছিলেন শোয়েব মালিক। মিরাজকে নিয়ে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে শেষ দুই ওভারে তুলেছিলেন ৩৭ রান। তাই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচ জিততে শেষ ২৪ বলে ৫০ রান করতে হলেও উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও মালিক থাকায় আশা ছিলই। তবে এদিন সেই ভার বহন করতে পারেনি মালিক ও মাহমুদউল্লাহর বুড়ো কাঁধ। হতাশ করে ফিরেন দু’জনেই।
তবে স্বপ্নটা জিইয়ে রেখেছিলেন দীর্ঘ ৯ মাস পর খেলতে নামা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তবে বিপরীত পাশ থেকে খেলা ডটের বোঝা বইতে পারেননি তিনিও। শেষ পর্যন্ত বরিশালের ইনিংস থেমেছে ১২৯ রানে। ১৬ রানের জয়ে খুলনাকে টপকে টেবিলের দুই নাম্বারে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
এদিন চট্টগ্রামের দেওয়া ১৪৬ রানের জবাবে শুরুতেই হুঁচট খায় বরিশাল। তামিম ইকবাল একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অপরপ্রান্তে সুবিধা করতে পারছিল না দলটির কোনো ব্যাটার। ব্যাটারদের আশা যাওয়ার মিছিলে স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে ব্যাট চালাতে পারেননি তামিমও। তাতে বলের সঙ্গে রানের ব্যবধানটা বেড়েছে ক্রমান্বয়ে। যা শেষ বেলায় সাইফুদ্দিন চেষ্টা করেও পেরে উঠেননি। এদিন বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ বলে ৪৯ রান করে তামিম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ বলে ৩০ রান করেছেন সাইফুদ্দিন।
তার আগে মঙ্গলবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠালেও বল হাতে তাদের খুব একটা চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি বরিশাল। অবশ্য শুরুতে সময় নিলেও হতাশই করেছেন তানজিদ হাসান তামিম। এই ব্যাটারকে ফেরান দীর্ঘ ৯ মাস মাঠে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১৯ বলে ১০ রান করে তানজিদ ফিরলেও দলকে টেনেছেন জস ব্রাউন ও টম ব্রোস।
২৩ বলে ব্রাউন ৩৮ রান করে ফিরলে শাহাদাত দিপুকে নিয়ে দলকে টানেন ব্রোস। তবে দিপুকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি বরিশালের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইমরান। ২০ বলে ১৫ রান করেই থামতে হয় তাকে।
এরপর দ্রুতই ফিরেছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান ও সৈকত আলী। তবে অপর প্রান্তে উইকেট আগলে দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্রোস। শেষ পর্যন্ত তার ৪০ বলে করা ৫০ রানের ইনিংসেই বরিশালকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়তে পেরেছে চট্টগ্রাম। শেষদিকে বরিশালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস থেমেছে ৫ উইকেটে ১৪৫ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৪৫/৫; (ব্রাউন ৩৮, ব্রোস ৫০*; ইমরান ২/৩১, সাইফউদ্দিন ২/২৪)
ফরচুন বরিশাল: ১২৯/৮; (তামিম ৪৯, সাইফুদ্দিন ৩০*; শহিদুল ৩/১৩)
ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৬ রানে জয়ী।