স্পোর্টস ডেস্ক
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৫ উইকেটে ১৪৫ রান করে। জবাবে বরিশাল ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের বেশি করতে পারেনি। আগের ম্যাচে কঠিন পরিস্থিতিতে গিয়ে বরিশাল ম্যাচ জিতলেও এই ম্যাচে পেরে ওঠেনি।
স্বল্প পুঁজি নিয়ে জয়ের জন্য চট্টগ্রামের শুরুতে উইকেটের প্রয়োজন ছিল। পঞ্চম ওভারে আল-আমিন দলের হয়ে কাজের কাজ করে দেন। তিন বলের ব্যবধানে তার শিকার আহমেদ শেহজাদ ও সৌম্য সরকার। ১৭ বলে ১৬ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন শেহজাদ। সৌম্য জায়গায় দাঁড়িয়ে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে বল উইকেটে টেনে আনেন।
এরপর পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে চট্টগ্রাম আরেকটি সাফল্য পায় মেহেদী হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কিন্তু, প্রয়োজন অনুযায়ী রান তুলতে পারেননি তারা। আটঁসাঁট বোলিংয়ে চট্টগ্রামের বোলাররা তাদেরকে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি পেতে দেননি। রান তোলায় গতি না থাকায় ব্যাটারদের ঝুঁকি নিতেই হতো। তা করতেই গিয়ে উইকেট হারিয়েছেন মুশফিক, তামিম, মালিক ও মাহমুদউল্লাহ।
১৬.৩ ওভারে শোয়েব মালিককে ফেরান নিহাদুজ্জামান। ১২ বলে ১৪ রান করেন পাকিস্তান অলরাউন্ডার। ১৮.৫ ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ফিরে যান ৮ বলে ৩ রান করে। পরের বলে ফেরান আব্বাস আফ্রিদীকে। শেষের দিকে সাইফউদ্দিন ঝলক দেখা গেলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি এই পেস অলরাউন্ডার। মোহাম্মদ ইমরানকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন। দুটি করে চার ও ছক্কায় ১৮ বলে ৩০ রান করেন চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা সাইফ উদ্দিন।
সারাবাংলা/এসএস