ট্রাম্প একটি বিষয়ে বড়াই করেন যে তিনি নাকি গোপনে ন্যাটোর সদস্যদেশগুলোর নেতাদের বলেছেন, রাশিয়া যদি তাদের ওপর হামলা চালায় আর তারা যদি ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের পাওনা অর্থ পরিশোধ না করে, তাহলে তিনি (ট্রাম্প) ওই দেশগুলোর সুরক্ষায় এগিয়ে আসবেন না।
‘ন্যাটোর উদ্দেশ্য ও অভিযানগুলো পুনর্মূল্যায়ন কাজ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে, তা ট্রাম্পের কাছে জানতে চেয়েছিল নিউইয়র্ক টাইমস। তিনি জবাবে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা যেন মার্কিনদের সুরক্ষায় কাজ করে এবং তাঁদের সম্পদ যেন বেপরোয়াভাবে ঝুঁকির মুখে না ফেলে, তা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে প্রত্যেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
তবে ন্যাটোপন্থী ট্রাম্পের কয়েকজন সমর্থক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে সামরিক জোটটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার ধোঁয়া তুলে তিনি আসলে ছলচাতুরী করছেন। তাঁরা বলেছেন, ট্রাম্প আসলে ইউরোপের ন্যাটো সদস্যদেশগুলোর ওপরে চাপ দিতে চাইছেন যেন দেশগুলো নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য আরও অর্থ খরচ করে।
ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনার বিষয়ে ট্রাম্পের সমর্থক ও সাউথ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) এটা করবেন না। তবে তিনি যেটি করবেন, তা হলো মানুষকে (ইউরোপের দেশ) আরও অর্থ দিতে বাধ্য করবেন। আর আমি মনে করি, এই কৌশলকে অনেকেই স্বাগত জানাবেন।’
একই কথা প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা রবার্ট ও’ব্রিয়েনের। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ন্যাটোর সামরিক গুরুত্ব যে কতটা, তা ট্রাম্প বোঝেন। তবে তিনি মনে করেন, জার্মানিসহ অন্য দেশগুলো নিজেদের নিরাপত্তা খাতের জন্য ন্যায্য অংশ খরচ না করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেলছে।
তবে ভিন্নমত ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা জন বোল্টনের। এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরাসরি বলেছেন, ‘আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই যে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এলে ট্রাম্প ন্যাটো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেবেন।’