মাশরাফী দল ছাড়লেন, সিলেটও জয়ের দেখা পেল

মাশরাফী দল ছাড়লেন, সিলেটও জয়ের দেখা পেল

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

দশম বিপিএলে প্রথম জয়ের দেখা পেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে আজ ১৫ রানে জিতেছে সিলেট। চলতি বিপিএলে টনা পাঁচ হারের পর সিলেটের এটা প্রথম জয়।

মাশরাফী বিন মোর্তজাকে ছাড়াই আজ মাঠে নেমেছিল সিলেট। বিপিএলের আগে অনেকদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকা ৪০ বছর বয়সী মাশরাফী পুরোপুরি ফিট নন। যার কারণে মাঠে ঠিকভাবে বোলিং, ফিল্ডিংও হচ্ছিল না। মাশরাফীর এভাবে খেলে যাওয়া নিয়ে সমালোচনা করছিলেন অনেকে। দল যখন টানা হারছিল সমালোচনাটা তখন আরও বেড়ে যায়।

এদিকে, এসবের মধ্যেই জাতীয় সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে বিপিএল ছেড়ে এসেছেন মাশরাফী। দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া মাশরাফী এবার সংসদের হুইপের দায়িত্ব পেয়েছেন। হুইপ হিসেবে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে বিপিএল থেকে ছুটি নিয়েছেন তিনি।

মাশরাফীকে ছাড়া খেলতে নেমে আজ প্রথম জয়ের দেখা পেল সিলেট। আগে ব্যাটিং করে ১৪২ রান তুলেছিল দলটি। পরে ঢাকার ইনিংস থেমেছে ১২৭ রানে।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট জয়টা যে স্বাচ্ছেন্দে পেয়েছে সেটা অবশ্য বলা যাবে না। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ঢাকার তরুণ পেসার শরিফুল ইসলামের পেসে শুরুতে নাকাল হয়েছে সিলেট। দলীয় ১৩ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় সিলেট। তিনটি উইকেটই নিয়েছেন শরিফুল, এবং সবগুলোই বোল্ড।

এরপর সামিত প্যাটেল ও মাশরাফীর জায়গায় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুনের প্রতিরোধ। দলীয় ৭০ রানের মাথায় ৩২ বলে ৩২ রান করা প্যাটেল ফিরে যান। এরপর আবারও একটা ব্যাটিং সংগ্রাম করতে হয়েছে সিলেটকে। রায়ান বার্ল ৪ বল খেলে ১ রান করেই আউট হয়েছেন।

বেনি হাওয়েল সাত নম্বরে নেমে ১৩ বলে ১১ রান করে ফেরেন। তবে আট নম্বরে নেমে অলরাউন্ডার আরিফুল ইসলাম মাত্র ৯ বলে ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২১ রান তুলে সিলেটের স্কোর সমৃদ্ধ করেছেন। মোহাম্মদ মিঠুন শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫৯ রান করেছেন। তার ইনিংসে চার ৪টি, ছক্কা ৩টি।

২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানে থামে সিলেট। প্রথম ৩ ওভারে ৮ রান খরচ করে ৩ উইকেট পাওয়া ঢাকার পেসার শরিফুল শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট। স্পিনার আরাফাত সানি ২৩ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।

পরে বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিতে পেরেছে সিলেট। জিম্বাবুয়ান পেসার রিচার্ড নাগারভা শুরুতেই ঢাকার দুই ওপেনার সিয়াম আয়ূব ও নাঈম শেখকে ফিরিয়ে ধাক্কা দিয়েছিলেন। পরে বেনি হাওয়েল, নাঈম হাসান ও সামিত প্যাটেলরাও ভালো বোলিং করেছেন।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানে থেমেছে ঢাকা। দলটির হয়ে পেসার তাসকিন আহমেদ নয় নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ১১ বলে ২১ রান করেছেন, তিনিই দলের পক্ষে সেরা স্কোরার। ১৮ বলে ২০ রান করেছেন অ্যালেক্স রোস। সাইফ হাসান করেছেন ১৯ রান।

সিলেটের হয়ে রিচার্ড নাগারভা ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। রেজাউর রহমান রাজা ৪১ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন।

সারাবাংলা/এসএইচএস

Scroll to Top