দেশে হাঙর সুরক্ষার দায়িত্ব বন অধিদপ্তরের। আইন অনুযায়ী হাঙর শিকার ও বিক্রির অপরাধে শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু সেই অর্থে আইন প্রয়োগ করতে দেখা যায় না সরকারি এ কর্তৃপক্ষকে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটগুলোতে প্রকাশ্যে হাঙর বেচাকেনা করা হলেও এর বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
আইন করে শিকার ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হলেও দেশ থেকে হাঙর রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। ২০১২ সালের বন্য প্রাণী আইন পাসের আগে ১৯৯২ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩৬ লাখ ৭৫ হাজার ৪০০ কেজি হাঙর, হাঙরের পাখনা, হাড়, ফুলকা ইত্যাদি রপ্তানি হয়েছে। এরপর থেকে শুঁটকি করে বেশির ভাগ হাঙর রপ্তানি করা হয়।
তবে গত এক দশকে মোট পাঁচটি চালানে ২ হাজার ৩৬৭ কেজি হাঙরের চামড়া, পাখনা ও দাঁত রপ্তানি হয়েছে। এতে বোঝা যায়, কী পরিমাণ হাঙর দেশের বাইরে চলে গেছে এবং যাচ্ছে, এর জন্য কত হাঙর শিকার করা হয়েছে এবং হচ্ছে। রপ্তানি নীতির আইন অনুযায়ী, হাঙর শিকারের জন্য সাইটিস সার্টিফিকেট এবং লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। কিন্তু হাঙর শিকারে এসব বাধ্যবাধকতা কেউ মানছে কি? এগুলো তদারকও কি করা হয়?