এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
দেশের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ধূমপায়ীরা কোনো না কোনো মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি অ্যাথেনা লিমিটেড (মেন্টাল হেলথ ওয়েলবিয়িং সেন্টার) আয়োজিত অ্যাডভান্সিং স্ট্রাটেজিস ফর হার্ম রিডাকশন ইন অ্যাডিকশন: আ ফোকাস অন প্রিভেন্টেটিভ ইন্টারভেনশন্স অ্যান্ড সেফার অল্টারনেটিভস, শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
সেমিনারে তামাকজনিত সমস্যা নিরসনে প্রতিরোধমূলক কৌশল এবং নিরাপদ বিকল্প নিয়ে আলোচনা করা হয়। জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে ধূমপানজনিত রোগ ও মৃত্যু রোধে নিরাপদ বিকল্প গ্রহণের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ কৌশলগুলিকে একীভূত করা জরুরি। এই বিষয়েই এই সেমিনারটিতে আলোচনা করেছেন স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন বিভাগের স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
সভাপতির বক্তব্যে ইউ এস বাংলা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:)অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম তামাকের ঝুঁকি কমানোর জন্য শারীরবৃত্তীয় এবং মনস্তাত্ত্বিক উভয় পদ্ধতি অবলম্বন করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি এমন পদ্ধতির প্রয়োগ করতে বলেছেন যা তামাকদ্রব্যের ব্যবহারকারীকে এবং সামগ্রিকভাবে সমাজকে উপকৃত করবে।
নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারপারসন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ধূমপায়ীরা কোনো না কোনো মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন; হয় তারা এটির কারণে ধূমপান শুরু করে বা ধূমপান এটির দিকে নিয়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কোনো কার্যকর কৌশল তৈরি করা কেবল ডাক্তারদের জন্যই নয় বরং সমাজ এবং সমগ্র জাতির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।’
আসক্তি নিরসনে এর চাহিদা ও সরবরাহ হ্রাস এর পাশাপাশি ক্ষতি হ্রাস এর উন্নত কৌশল এর ব্যাপারে আলোকপাত করে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দীন আহমেদ।
বিভিন্ন আসক্তি এবং নির্ভরতা, বিশেষ করে তামাক নির্ভরতার চিকিৎসার জন্য ব্যবহারিক এবং কার্যকর সমাধান উপর একটি মূল্যবান প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মনোচিকিৎসক ডা. চিরঞ্জীব বিশ্বাস।
সেমিনারটির কেন্দ্রীয় লক্ষ্যগুলোর মধ্যে একটি ছিল সাধারণ ধূমপান ব্যবহারের নিরাপদ বিকল্প নিয়ে আলোচনা। বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন যে, করেছেন যে তামাকের ক্ষতি কমানোর কৌশলগুলোর যাথে যদি নিরাপদ বিকল্প যুক্ত করা হয়, তাহলে এর সাথে যুক্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলোও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তামাক আসক্তি হ্রাসের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতির প্রয়োগ করা দরকার। তারা বলেন, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ এবং নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টা ধূমপান সংক্রান্ত রোগ এবং আসক্তি দমনে দীর্ঘস্থায়ী অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেছেন অ্যাথেনা লিমিটেড এর মেন্টাল হেলথ কাউন্সেলর নুসরাত সাবরিন চৌধুরী। সেই সাথে উপস্থিত ছিলেন অ্যাথেনা এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মাদকাসক্তি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ইফতেখার ই আলম সিদ্দিকী।