এলিজাবেথের বন্ধু খ্রীষ্টফার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিদেশে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে এলিজাবেথের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এলিজাবেথ আমার খুব ভালো বন্ধু। আমি বাংলাদেশি হওয়ায় এলিজাবেথ আমাকে সবকিছু খুলে বলে। কিন্তু আমরা প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরে আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কখনো ভাবিনি এলিজাবেথ তাঁর মাকে খুঁজে পাবে। সবই সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপা। মা ও মেয়ের মিলন ঘটাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’
এলিজাবেথ ফিরোজা বলেন, নরওয়ের বাবা-মা তাঁর নাম রাখেন এলিজাবেথ। বড় হয়ে জানতে পারেন তাঁর জন্ম বাংলাদেশে, মায়ের নাম ফিরোজা বেগম। এর পর থেকে তিনি ফিরোজা নামটিকে নিজের নামের সঙ্গে যুক্ত করেন। বিয়ের পরে নরওয়ের এক চিকিৎসক তাঁর জীবনকাহিনি জানতে চান। তখন থেকেই নিজের পরিবারকে খোঁজার চেষ্টা শুরু করেন। এ বিষয়ে তাঁর স্বামী হ্যানরি ও সন্তানেরা তাঁকে সাহায্য করেছে। নরওয়েতে তাঁর তিন ছেলে ও এক মেয়ে এবং নাতি-নাতনি আছে বলে জানান তিনি।
এলিজাবেথ ফিরোজা আরও বলেন, ‘গত দুই বছর এক মুহূর্তের জন্যও জন্মভূমি আর মায়ের কথা ভুলতে পারিনি। নিজের মাকে কাছে পেয়ে নিজেকে পূর্ণাঙ্গ মনে হচ্ছে। তবে দত্তক দেওয়ার জন্য মাকে আমি কখনোই দায়ী করিনি। মায়ের সেই সময়ের অসহায়ত্বকে আমি বুঝতে পারছি। নরওয়েতে একটি ভালো পরিবারের কাছে বড় হয়েছি। নরওয়ের বাবা-মায়ের প্রতিও আমার অসীম ভালোবাসা। বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও সহযোগিতা পেয়েছি। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’