সরকারি হাসপাতাল ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ বলেন, প্রতি ৩ জনের মধ্যে ২ জন রোগীর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তবে ৩ জনের মধ্যে ১ জন রোগী প্রয়োজনীয় সেবা না পেয়ে ফিরে যান বা উপেক্ষিত হন।
আজ ৫ মে সোমবার সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডা. আজাদ একথা জানান। তার নেতৃত্বে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত কমিশনে সদস্য ছিলেন মোট ১১ জন।
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন দেশের স্বাস্থ্যসেবায় মৌলিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে নিরাপদ ও মানবিক হাসপাতাল গড়ার সুপারিশ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিশনের প্রস্তাবিত রূপান্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আনুমানিক দুই বছর সময় লাগবে। এই প্রকল্প কার্যকর করতে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির মাধ্যমে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ে সরকারের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন বলে মনে করছে কমিশন।
কমিশনের পক্ষ থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে রাষ্ট্রের আইনগত স্বীকৃতি দেওয়ার জোর সুপারিশ করা হয়েছে উল্লেখ করে ডা. আজাদ বলেন, এটি খুব সহজ কাজ—সরকার চাইলে সঙ্গে সঙ্গেই করতে পারে। তবে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠে এসেছে সাধারণ মানুষের মানসিকতা ও আচরণগত পরিবর্তন। এটা সবচেয়ে কঠিন কাজ। সময় লাগবে, কিন্তু এটা না হলে টেকসই পরিবর্তন আসবে না।
তিনি বলেন, প্রতিবেদনে দরিদ্রতম ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেখা গেছে, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষই জানে না কোথায় এবং কীভাবে স্বাস্থ্যসেবার অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ জানাতে হয়।