১৫ জুনের স্ট্যাটাসে শাকিব-বুবলী প্রসঙ্গে সব উত্তর আছে: অপু বিশ্বাস

১৫ জুনের স্ট্যাটাসে শাকিব-বুবলী প্রসঙ্গে সব উত্তর আছে: অপু বিশ্বাস

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের আলোচিত নাম শাকিব খান। তার ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন, দুই সন্তান, এবং দুই নায়িকা— অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী নিয়েই মিডিয়ায় চলে অবিরাম আলোচনা। তবে এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা অপু বিশ্বাস এবার আর মুখ খুললেন না, বরং পাঠালেন তার এক আগের স্ট্যাটাসে। বললেন, ‘১৫ জুনের পোস্টটাই আমার বক্তব্য’।

চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে দুই নায়িকার সম্পর্ক এখন আর কারো অজানা নয়। অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী দুজনই শাকিবের সন্তানের জননী। কিন্তু সংসার টেকেনি কারো সঙ্গেই। তবু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায়, অপু কিংবা বুবলী—দুজনেই বিশেষ দিনে শাকিবকে নিয়ে স্মৃতিমেদুর পোস্ট দিচ্ছেন, যা ভক্তদের কৌতূহল বাড়িয়ে তোলে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব-বুবলীর ঘোরাঘুরির ছবি প্রকাশ্যে আসার পর অপু বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া জানতে উদগ্রীব ছিলেন অনেকেই। অনেক সংবাদমাধ্যমও তার কাছে জানতে চেয়েছে মতামত। কিন্তু অপু সবার জবাব এক কথায় দিয়েছেন— ‘১৫ জুনের স্ট্যাটাসটা দেখুন’।

১৫ জুন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে অপু বিশ্বাস লিখেছিলেন:
‘প্রিয় ভক্ত-অনুরাগী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করছি, আমার ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্ত বা আমার ছেলের সাথে স্মরণীয় সময়গুলো যখন আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করি— তখনই কোনো না কোনোভাবে সেই বিষয়কে ঘিরে একধরনের অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।’

এই লাইনেই শুরু হয় তার আত্মমগ্ন এবং পরিপক্ব বক্তব্য। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, কারো সঙ্গে পাল্লা দিতে চান না, কাউকে কিছু প্রমাণ করার প্রয়োজন অনুভব করেন না। বরং তিনি একজন মা, একজন কর্মজীবী নারী, এবং একজন স্বাবলম্বী মানুষ হিসেবে নিজের জীবনকে গুরুত্ব দেন।

‘আমি সেই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেই। সম্মান নিজে অর্জন করতে হয়, অন্যকে ছোট করে নয়।’

তিনি আরও লেখেন, তার সন্তানের শৈশব, মানসিক বিকাশ এবং ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই তিনি পারিবারিক মুহূর্তগুলো ভাগাভাগি করেন। এটিকে ঘিরে কারো যদি অস্বস্তি হয়, সেটা তার দায় নয়।

অপু বিশ্বাস তার স্ট্যাটাসে এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন যে, তার কোনো পোস্টের পরেই ‘কাউন্টার প্রচেষ্টা’ শুরু হয়— এমনটা তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেখছেন। যদিও কোনো নাম করেননি, কিন্তু দর্শকদের কাছে তাৎপর্যটা বোঝা কঠিন নয়।

এই প্রসঙ্গে অপু বিশ্বাসের বক্তব্য যেন এক আত্মবিশ্বাসী নারীর ঘোষণা— ‘আমি নিজের জায়গাতেই স্বাচ্ছন্দ্যে আছি।’ তিনি নিজের ব্যক্তিত্ব রক্ষা করেই এগিয়ে যেতে চান, কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির রাজনীতি কিংবা ব্যক্তিগত সম্পর্কের নাটকে তিনি আর নেই।

একজন মা হিসেবে অপু বিশ্বাসের এই অবস্থান অনেকের কাছে প্রেরণাদায়ী। এমন এক শিল্পাঙ্গনে, যেখানে ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রায়ই পুঁজি হয় বিনোদনের জন্য, সেখানে অপু বিশ্বাস নিজের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে এগিয়ে চলার ঘোষণা দিয়েছেন।

তার স্ট্যাটাসে ছিল এক ধরনের দার্শনিক উচ্চারণও – ‘ভালোবাসা অমলান থাকুক’।

অপু বিশ্বাসের এই অবস্থানকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন অনেক ভক্ত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। কেউ লিখেছেন, ‘অপুদি অনেক ম্যাচিওর্ড’, আবার কেউ বলেছেন, ‘শাকিব খানের বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করলেও অপুদির কষ্ট বুঝা যায়’।

Scroll to Top