ভারতের বেঙ্গালুরুতে একটি কোচিং সেন্টার থেকে নিখোঁজ হন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র পরিনাভ। এসময় তার কাছে ছিল মাত্র ১০০ রুপি (১৩২ টাকা)। পরে অনুসন্ধানে পুলিশ ১২ বছর বয়সী ছেলেটিকে ৫৭০ কিলোমিটার দূরের একটি শহরে খুঁজে পায়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, নিখোঁজের ৩ দিন পর আজ সকালে হায়দ্রাবাদের একটি মেট্রো স্টেশনে খুঁজে পাওয়া যায় পরিনাভকে। তাকে খুঁজে পেতে সাহায্য করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরোধ জানিয়েছিলেন তার মা-বাবা।
ডিনস একাডেমির ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র পরিনাভকে খুঁজে পেতে তিনদিন ধরে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় পুলিশকেও ফাঁকি দিতে সক্ষম হন পরিনাভ। পুলিশ যখন প্রথমবার পরিনাভকে খুঁজে পায় তখন তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে রওনা হয়। কিন্তু পুলিশ সেখানে পৌঁছানোর আগেই অন্য জায়গায় চলে যায় পরিনাভ।
জানা গেছে, নিখোঁজের দিন সকাল ১১টার দিকে হোয়াইটফিল্ডের একটি কোচিং সেন্টার থেকে বের হতে দেখা যায় পরিনাভকে এবং তারপর বেলা ৩টার দিকে ইয়েমলুরের কাছে একটি পেট্রোল পাম্পে তাকে দেখা যায়। বেঙ্গালুরুর ম্যাজেস্টিক বাস টার্মিনালে ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে একটি বাসে উঠতে দেখা গিয়েছিল।
বেঙ্গালুরু থেকে তিনি প্রথমে মাইসুরু এবং তারপর চেন্নাই হয়ে হায়দ্রাবাদে পৌঁছান। তার কাছে মাত্র ১০০ রুপি ছিল এবং এই সময় অর্থের জন্য পরিনাভ তার কাছে থাকা ১০০ রুপি মূল্যের কয়েকটি পার্কার কলম বিক্রি করেন। সিসিটিভির ফুটেজে তাকে গ্রাহকদের কাছে কলম বিক্রি করতে দেখা যায়।
এদিকে তার বাবা-মা তাকে খুঁজে বের করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্য চেয়েছিলেন। তাদের করা পোস্ট ব্যাপকভাবে অনলাইনে শেয়ার করা হয় এবং এর ফলে একজন যাত্রী মেট্রোতে পরিনাভকে শনাক্ত করতে পারেন। ওই ব্যক্তি পরিনাভের পরিচয় নিশ্চিত করেন এবং নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর হায়দ্রাবাদের নামপল্লী মেট্রো স্টেশনে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
পরিনাভের বাবা সুকেশ বলেছেন, পরিনাভ কীভাবে সেখানে গিয়েছিল তা তিনি জানেন না। তিনি বলেন, আমি সত্যিই সেই সমস্ত অপরিচিতদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাদের ছেলেটিকে খুঁজে পেতে সাহায্য করেছেন। তার ছবি ছড়িয়ে না পড়লে, হায়দ্রাবাদের লোকটি কখনই একটি ছেলেকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করার কথা ভাবত না এবং আমরা আমাদের ছেলেকে খুঁজে পেতাম না।