হাসারাঙ্গার পক্ষেই সাফাই গাইছে শ্রীলংকা

হাসারাঙ্গার পক্ষেই সাফাই গাইছে শ্রীলংকা

স্পোর্টস ডেস্ক

অবসর ভেঙে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে ফিরেছিলেন তিনি। তবে সিরিজ শুরুর আগেই নিষিদ্ধ হয়ে টেস্ট খেলা হচ্ছে না লংকান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার। তবে এমন নিষেধাজ্ঞার পর হাসারাঙ্গার টেস্টে ফেরা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। অনেকেই ধারণা করছেন, টি-২০ বিশ্বকাপে নিষেধাজ্ঞা এড়াতেই ইচ্ছা করে টেস্টে ফেরানো হয়েছিল তাকে। তবে নিষেধাজ্ঞার দুদিন পর হাসারাঙ্গা নাটকের ব্যাখ্যা দিয়েছে শ্রীলংকা। লংকান নির্বাচক দলের অন্যতম সদস্য অজন্থা মেন্ডিস বলছেন, অনেক আগেই টেস্টে ফেরার কথা বোর্ডকে জানিয়েছিলেন হাসারাঙ্গা।

বাংলাদেশ সফরের আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে শ্রীলংকা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে আম্পায়ারের সাথে অসদাচরণের কারণে ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছিলেন হাসারাঙ্গা। ২৪ মাসের মাঝে পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট হওয়ায় দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন হাসারাঙ্গা। এই কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দুটি টি-২০ ম্যাচে খেলতে পারেননি এই স্পিনার। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শেষ টি-২০ ও ৩টি ওয়ানডেতে খেলেছেন হাসারাঙ্গা।

চট্টগ্রাম সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আবারও আম্পায়ারের সাথে বাজে আচরণ করেছিলেন হাসারাঙ্গা। ৩৭তম ওভারে আম্পায়ারের হাত থেকে ক্যাপ কেড়ে নেওয়ার সাথে ছিল বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করাও। এই কারণে যে ডিমেরিট পয়েন্ট আসতে পারে সেটা হয়তো বুঝে গিয়েছিলেন হাসারাঙ্গা। আর ডিমেরিট পয়েন্ট এলেই পেতে হতো নতুন নিষেধাজ্ঞা। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের আগে আর কোনও সিরিজ নেই শ্রীলংকার। তাই এই মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা এলে বিশ্বকাপের ম্যাচেই মাঠের বাইরে থাকতে হতো তাকে।

তাহলে কি অনেকটা ইচ্ছা করেই অবসর ভেঙে টেস্টে ফেরানো হয়েছিল হাসারাঙ্গাকে? এমন নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে শ্রীলংকান ম্যানেজমেন্টকে। তবে মেন্ডিস ইএসপিএনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তৃতীয় ওয়ানডের আগেই টেস্টে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হাসারাঙ্গা, ‘সে দুই সপ্তাহ আগেই আমাদের জানিয়েছিল টেস্টে ফেরার ব্যাপারে। অনেকে অন্য কিছু ভাবতে পারে। কিন্তু তার টেস্টে ফেরার সিদ্ধান্ত তৃতীয় ওয়ানডের আগেই নেওয়া।’

এদিকে ইএসপিএন বলছে, হাসারাঙ্গা যে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলবে, সেই বিষয়টি একদমই জানা ছিল না হাসারাঙ্গার আইপিএল দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। সত্যি যদি টেস্ট খেলতে পারতেন হাসারাঙ্গা, তাহলে আইপিএলের প্রথম চার ম্যাচ মিস করতেন তিনি। এই ইস্যুতে অবশ্য এখনো মুখ খোলেননি হাসারাঙ্গা অথবা শ্রীলংকান ম্যানেজমেন্ট।

ক্রিকেটারদের নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে বাঁচাতে লংকানদের এমন চতুরতার ঘটনা নতুন নয়। ২০১২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে এক ম্যাচের জন্য মাহেলা জয়াবর্ধনের বদলে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন কুমারা সাঙ্গাকারা। কারণ ওই ম্যাচের আগে একবার স্লো ওভার রেটের কারণে জরিমানার মুখে পড়েছিলেন জয়াবর্ধনে। আবারও সেই একই জরিমানা পেলে পরের ম্যাচে নিষিদ্ধ হতে পারতেন তিনি। এই কারণেই নিষেধাজ্ঞা এড়াতে জয়াবর্ধনের বদলে সাঙ্গাকারাকে অধিনায়ক করেছিল লংকান ম্যানেজমেন্ট।

বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার সিরিজের সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র‍্যাবিটহোলবিডি

সারাবাংলা/এফএম

Scroll to Top