হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হার্টের স্টেন্ট বা ‘হার্টের রিং’ এর মূল্য কমিয়ে পুনঃনির্ধারণ করেছে সরকার। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবহৃত ১০টি স্টেন্ট ডিভাইসের দাম কমিয়ে নতুন এই মূল্যহার আগামী ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে। ফলে প্রতিটি স্টেন্টের দাম তিন থেকে ৮৮ হাজার টাকা পর্যন্ত কমবে।
আজ (১২ আগস্ট) মঙ্গলবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. আকতার হোসেন জানিয়েছেন, হাসপাতালের সার্ভিস চার্জের ৫ শতাংশ যুক্ত করে স্টেন্টের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই তালিকায় একটি স্টেন্টের মূল্য পূর্বের মতোই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
ডা. আকতার হোসেন বলেন, জীবন রক্ষাকারী এই গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল ডিভাইসের দাম স্বল্প ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকার স্টেন্ট, পেসমেকার, বেলুন, ক্যাথেটারসহ বিভিন্ন যন্ত্রের মূল্য নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত ১৩ এপ্রিল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের বরেণ্য কার্ডিয়াক, ভাস্কুলার ও নিউরো সার্জনদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ পরামর্শক কমিটি গঠন করে।
তিন দফা সভার পর কমিটি বাজারে প্রচলিত আমেরিকান তিনটি কোম্পানির স্টেন্টের মূল্য পর্যালোচনা করে, প্রতিবেশী দেশের দাম, ট্যাক্স, ভ্যাট ও অন্যান্য চার্জ বিবেচনায় নিয়ে। এরপর গত ৮ জুলাইয়ের সভার সুপারিশের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ৩ আগস্ট স্টেন্টের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পুনঃনির্ধারণ করে।
এর আগে গত ৩ আগস্ট, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক স্মারকের মাধ্যমে হার্টের স্টেন্টের দাম পুনর্বিন্যাসের ঘোষণা দেয়। নির্দেশনায় বলা হয়, জনস্বার্থে স্টেন্টের মূল্যসীমা যৌক্তিক করতে এবং সাধারণ রোগীদের ব্যয় সামলানো সহজ করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে হৃদরোগের চিকিৎসায় স্টেন্টের দাম নিয়ে নানা সময়ে অভিযোগ থাকলেও এবার তা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।