হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উপকণ্ঠে পিশন-ভিলের সমৃদ্ধ এলাকায় একটি গ্যাং হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। ওই এলাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে লাশগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ১৯ মার্চ আলজাজিরা’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার সূর্যোদয়ের আগে বন্দুকধারীরা লাবোল এবং থমাসিনের পাহাড়ী সম্প্রদায়ের বাড়িঘর লুট করে। তবে রেড়িও স্টেশন থেকে পুলিশ বাসিন্দাদের পালিয়ে যেতে বললে অনেকে সরে যেতে সক্ষন হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পোর্ট-অ-প্রিন্সজুড়ে গ্যাং আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত আশপাশের এলাকাগুলো অনেকাংশে শান্তিপূর্ণ ছিল।
রয়টার্স এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সিগুলো জানায়, গুলিবিদ্ধ নিহতদের লাশ শহরতলির প্রধান রাস্তা থেকে এবং একটি জ্বালানী স্টেশনের বাইরে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
অনেক দিন থেকেই হাইতিতে রাজনৈতিক ও মানবিক সংকট চলছে। এই সংকটের জেরে রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের কিছু অংশে ক্ষুধা ও অপুষ্টিজনিত মৃত্যু বাড়তে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিল জাতিসংঘের এই সংস্থাটি।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সেখানে প্রতি চারজন মহিলার মধ্যে একজন মৌলিক স্বাস্থ্যসেবার বাইরে।
চলতি সপ্তায় হাইতির অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি জানান, একটি ক্রান্তিকালীন কাউন্সিল চালু হলে তিনি পদত্যাগ করবেন।