খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফয়সাল নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন। তাঁর কাছে ‘শেষ খবর’ নামে একটি পত্রিকার পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। যেখানে তাঁর পদবি লেখা গাজীপুর প্রতিনিধি। এক মোটরসাইকেলে তিনজন করে নেত্রকোনার উদ্দেশে রওনা হন। ময়মনসিংহ শহরে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে তিনজন যাত্রী বহনের কারণে ট্রাফিক পুলিশ তাঁদের পথ আটকায়। সেখানে ফয়সাল নিজেকে দৈনিক শেষ খবর পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চলে যান।
নেত্রকোনার ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর সংবাদ সংগ্রহের বাহানা করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন ফয়সাল ও মাসুক। রাত তিনটার দিকে সুযোগ বুঝে সাইফুলের মাথায় রাস্তার পাশে থাকা ইট দিয়ে আঘাত করেন ফয়সাল। সাইফুল মাটিতে পড়ে অচেতন হওয়ার পর দুজন মিলে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর সাইফুলকে যাতে চেনা না যায়, সে জন্য তাঁর গায়ের শার্ট খুলে তাতে পেট্রল দিয়ে তাঁর মুখ পুড়িয়ে দেন। হত্যায় ব্যবহার করা ছুরি, সাইফুলের মোবাইল পানিতে ফেলে দিয়ে মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা। পরে মাসুক তাঁর ভাগনের কাছে মোটরসাইকেলটি পৌঁছে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, মাসুক রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি দিনে রাজমিস্ত্রির কাজ করে করতেন, আর সন্ধ্যায় ভ্যানে করে কাপড় বিক্রির আড়ালে মোটরসাইকেল ছিনতাই করতেন।