স্বাস্থ্য রক্ষায় চাই নাগরিক সক্রিয়তা

স্বাস্থ্য রক্ষায় চাই নাগরিক সক্রিয়তা

জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল বলেন, পরিবর্তনের জন্য কাজ করার বহু ক্ষেত্র আছে। কিন্তু নানা জটিলতায়, নানা কারণে তা হয় না। তিনি বলেন, অন্তত তিনটি কাজ করা যায় যাতে আর্থিক–সংশ্লিষ্টতা কম। এগুলো হচ্ছে কমিউনিটির সম্পৃক্ততা, কার্যকর যোগাযোগ ও সমন্বয়। এ তিনটি কাজ কীভাবে হবে তার ব্যাখ্যা ও উদাহরণ দেন তিনি।

ওষুধের ব্যবহার কীভাবে মানুষের স্বাস্থ্য ব্যয় কমাতে পারে তা যুক্তিসহকারে বর্ণনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাঈদুর রহমান। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ব্যয়ের দুই–তৃতীয়াংশ যায় ওষুধে। ওষুধের বাজার ৩০ হাজার কোটি টাকার। এর ৭–৮ শতাংশ বহন করে রাষ্ট্র।

রাষ্ট্র যদি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকায় ২৫০ থেকে ২৮০টি ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করে, তা হলে ৯৫ শতাংশ ওষুধের প্রয়োজন মেটে। এই ওষুধ রাষ্ট্র নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে তৈরি করতে পারে। নিজে কিনতেও পারে। রাষ্ট্র ওষুধে ১০০ টাকা বিনিয়োগ করলে ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০০ টাকা ব্যয়ের ভার কমে। তিনি বলেন, ব্যক্তি ওষুধ কেনার সময় ওষুধের মান যাচাই করতে পারে না। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে কেনা হলে, ওষুধের মান যাচাই সম্ভব।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক এ এম জাকির হোসেন বলেন, আইন দেশের ৩২৯টি পৌরসভার কর্তৃপক্ষকে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু সেবা দেওয়ার ক্ষমতা বা সক্ষমতা তাদের নেই। এসব পৌরসভাকে সহায়তা কে করবে? তিনি আরও বলেন, এসডিজির স্বাস্থ্যের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে চিকিৎসকসহ সাড়ে সাত লাখের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী থাকতে হবে। আছে প্রয়োজনের অনেক কম।

Scroll to Top