বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শহীদ ইশমামুল হকের (১৭) নামে সড়কের নামকরণ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। একই সঙ্গে তিনি ইশমামের বড় ভাইকে একটি চাকরিতে নিয়োগের আশ্বাস দেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় নিহত ইশমামের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তিনি এ কথা জানান।
এদিন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান লোহাগাড়া উপজেলায় গিয়ে ইশমামুল হকের কবর জিয়ারত করেন এরপর তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইশমামের পরিবারকে এক লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি ইশমামের বড় ভাইকে একটি চাকরিতে নিয়োগের আশ্বাস দেন।
এসময় তার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিসহ আন্দোলনের অন্যন্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত লোহাগাড়ার কৃতি সন্তান ইশমামের স্মরণে তার বাড়ির কাছে থাকা কাঁচা সড়কটি যা অনেকদিন ধরে ইশমামের পরিবারসহ এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কারণ, সেখানে পাকা সড়ক নির্মাণ করা হবে এবং তা ইশমামের নামে নামকরণ করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, আমাদের আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে একটি কুচক্রী গোষ্ঠী হামলা চালাচ্ছে। এ কাজ শিক্ষার্থীদের হতে পারে না। আমি সবাইকে অনুরোধ করব ছাত্র আন্দোলনের নামে কেউ যেন আপনাদের দিকভ্রান্ত করতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলাকে তিনটি ভাগ করে – উত্তর জেলা, দক্ষিণ জেলা ও মহানগরে আমাদের তিনটি প্রতিনিধি দল নিয়োজিত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে আমাদের এ প্রতিনিধিরা জনজীবন স্বাভাবিক করতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে এবং করবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইনামুল হাছান, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাজধানী ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন ইশমামুল হক (১৭)। পরে তাকে উদ্ধার করে আন্দোলনকারীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
পরদিন (৬ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।