মিউনিখে ইউরো সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে স্পেন। এই ম্যাচে স্পেনের দলগত প্রচেষ্টা এবং ফ্রান্সের কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফুটবলপ্রেমীদের মুগ্ধ করেছে।
ম্যাচের শুরুতেই, ৯ মিনিটে, কিলিয়ান এমবাপ্পের সহায়তায় রানদাল কোলো মুয়ানি ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন। এই গোলের ফলে স্পেনের ওপর চাপ বাড়ে, এবং তাদের রক্ষণ ও আক্রমণ কৌশলকে নতুনভাবে সাজাতে হয়। তবে স্পেন ধীরে ধীরে ম্যাচে ফিরে আসে এবং ২১ মিনিটে দুর্দান্ত এক আক্রমণে সমতা ফেরায়।
সম্পর্কিত
স্পেনের আক্রমণের ধারায় এবং বল নিয়ন্ত্রণে ফ্রান্স কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। দানি অলমো ২৫ মিনিটে দারুণ এক শটে স্পেনের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন, যা তাদের ২-১ গোলে এগিয়ে দেয়।
দ্বিতীয়ার্ধে, ফ্রান্স ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করে। এমবাপ্পে এবং তার সতীর্থরা একের পর এক আক্রমণ চালান, তবে স্পেনের রক্ষণভাগ তাদের প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। উসমান দেম্বেলে এবং অ্যান্টনি গ্রিজমানেরও গোল করার সুযোগ তৈরি হয়, তবে তারা তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।
স্পেনের জেসুস নাভাস এবং উনাই সিমন দুর্দান্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলেন, যা ফ্রান্সের আক্রমণভাগকে বারবার হতাশ করে। ফ্রান্সের আক্রমণভাগের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে, স্পেনের ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়।
স্পেনের এই জয় তাদের ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে, যেখানে তারা চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপার জন্য লড়বে। অন্যদিকে, ফ্রান্সের বিদায় তাদের জন্য হতাশার হলেও, তারা নতুন উদ্যম নিয়ে পরবর্তী টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।
স্পেনের এই জয়ের পিছনে দলগত প্রচেষ্টা এবং কৌশলগত বুদ্ধিমত্তা ছিল মূল চালিকা শক্তি। তাদের আক্রমণভাগ এবং রক্ষণভাগের সমন্বয় ফ্রান্সকে পরাস্ত করতে বড় ভূমিকা রেখেছে।