স্থাপত্য নকশায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেল বড়াল বিদ্যা নিকেতন – আনন্দ আলো

স্থাপত্য নকশায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেল বড়াল বিদ্যা নিকেতন – আনন্দ আলো

ইকবাল হাবিব বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান স্থপতিও। নগর পরিকল্পনাবিদ। তিনি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর সহ সভাপতি। পড়াশোনা করেছেন বুয়েটের স্থাপত্য বিদ্যায়। বর্তমানে তিনি ভিত্তি স্থপতিবৃন্দ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আর পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে আছেন খ্যাতিমান স্থপতি ইশতিয়াক জহির তিতাস। সম্প্রতি পাবনার ‘বড়াল বিদ্যা নিকেতন’ প্রকল্পটি অন্তর্ভুক্তি মূলক নকশায় বিশেষ অবদানের জন্য আমেরিকান ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্টস (এআইএ ইন্টারন্যাশনাল) এর মেরিট অ্যাওয়ার্ড ও ইনক্লুসিভ ডিজাইন এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অজর্ন করেছে। তাদের পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প, যেমন ধানমন্ডি লেক উন্নয়ন, জাস্টিস শাহবুদ্দিন আহমেদ পার্ক ও বনানী কবরস্থান মসজিদ, প্রতিষ্ঠানের সামাজিক ভাবে দায়িত্বশীল ও পরিবেশ সংরক্ষণমূলক নকশার প্রতি প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করেছে। সাম্প্রতিক প্রকল্প গুলোর মধ্যে বন এর বাড়ি, গাজীপুরে একটি বনাঞ্চল কেন্দ্রিক আবসান প্রকল্প, উল্লেখযোগ্যভাবে পুরস্কৃত হয়েছে, এটি বার্জার এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচার অ্যাওয়ার্ড জিতেছে এবং ২০২৩ সালে আর্কেশিয়া অ্যাওয়ার্ডে সম্মানসূচক পুরস্কার। এছাড়া, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উম্মুক্ত স্থান সমূহের (পার্ক এবং প্লে-গ্রাউন্ড) আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন প্রকল্প কমনওয়েলথ অ্যাসোসিয়েশন অফ আর্কিটেক্টস (আইডিএ) এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এবার শাহ সিমেন্ট নির্মাণে আমিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান এই স্থপতিকে নিয়ে প্রতিবেদন। লিখেছে মোহাম্মদ তারেক

পাবনার চাটমোহর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম কুমার গাড়া। এই গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বড়াল নদটি দখল দূষণে মৃত প্রায়। নদী রক্ষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে এখানেই প্রতিষ্ঠা হয় ‘বড়াল বিদ্যা নিকেতন’। ইট, পাথর, ইস্পাতের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ, কাঠ ও মাটি। শিক্ষার্থীরা যাতে করে প্রকৃতির সঙ্গে বেড়ে উঠতে পারে, তার জন্য চারপাশটা রাখা হয়েছে সবুজ আর সবুজ। ছায়া ঘেরা। এমন একটি নান্দনিকতা ও বুদ্ধিদীপ্ত স্থাপত্য নকশার জন্য সম্প্রতি আমেরিকান ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্টস এর দুটি পুরস্কার জিতেছে ‘বড়াল বিদ্যা নিকেতন’। আধুনিক আর ঐতিহ্য দুইয়ের মিশেলে তৈরি হয়েছে এই স্কুল ভবনটি। স্কুলটিতে রয়েছে দুই দিকে দুটি একতলা আর মাঝখানে একটি দোতলা ভবন। একতলা ভবন দুটির ওপরে মাটির টালি, কোনো জানালা নেই। ইটের গাঁথুনি ও দেয়ালের জালিকা নকশায় রয়েছে পর্যাপ্ত আলো প্রবেশের ব্যবস্থা। সেই সাথে একদিকের অংশ খোলা। রোদ-বৃষ্টি সবই মিলছে। শ্রেণিকক্ষ থেকেই শিক্ষার্থীরা রোদের দিনে আলো, বৃষ্টির দিনে বৃষ্টি উপভোগ করতে পারছে।
দ্বিতল ভবনটি আরও অন্য রকম। নিচতলাটা পুরো ফাঁকা। জানালা-দরজা কিছুই নেই। বাঁশের চাটাইয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে শিক্ষামূলক বিভিন্ন ছবি। মাঝখানে মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে লাইব্রেরী। শীতল কক্ষটিতে সারি সারি সাজানো বই। স্কুল ভবনটির দুই দিকে সিঁড়ি। একদিক দিয়ে শিক্ষার্থীরা দোতলায় ওঠে, অন্য দিক দিয়ে নেমে আসে। দোতলাটাও পুরো খোলামেলা। দুই পাশে লম্বা বারান্দা। মাঝখানে পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ। কক্ষগুলোর প্রবেশ দিকে দরজা। বিপরীতে স্লাইড। প্রয়োজনে যা আটকে রাখা যায়, আবার পুরো খুলেও দেওয়া যায়। ক্লাস চলাকালে কক্ষের এক দিক পুরোই খোলা রাখা হচ্ছে। আর ভবনের সামনে রয়েছে আম, লিচু, কাঁঠাল সহ বিভিন্ন ফল-ফুলের বাগান।
স্থাপত্যশৈলীই শুধু সৃজনশীল নয়, এর শিক্ষাব্যবস্থায়ও রয়েছে ভিন্নতা। গতানুগতিক ধারার বাইরে পড়ানো হয় হেসে খেলে। বাংলা, ইংরেজি, অংক সব পড়ানোর পাশাপাশি শেখানো হয় গান, নাচ, আবৃত্তি, ছবি আঁকা ও বিতর্ক। আছে কম্পিউটার ল্যাবও। সবার প্রয়াস আনন্দ নিয়ে যেন বেড়ে উঠতে পারে শিক্ষার্থীরা। স্কুলটিতে প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হচ্ছে। প্রতি বছর একটি করে শ্রেণি বাড়ছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ২৮১জন। শিক্ষক ১৭জন। নাম মাত্র বেতন দেয় শিক্ষার্থীরা, যা তাদের টিফিন বাবদ ব্যয় হয়। শিক্ষার্থীদের পোশাক থেকে শুরু করে বাকি খরচ বহন করে স্থাপত্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ভিত্তি স্থপতি বৃন্দ লিমিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হাবিব ও তাঁর পরিবার। এখানে শিক্ষকরা নামমাত্র বেতনে শ্রম দেন।
বড়ালনদী রক্ষা আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিশুদের পরিবেশ সচেতন করতে ২০১৯ সালে নিজ জমি ও অর্থায়নে ‘বড়াল বিদ্য নিকেতন’ স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন কুমারগাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ও দিল আফরোজ দম্পতি।


সম্পর্কিত

অ্যাওয়ার্ড হাতে স্থপতি ইশতিয়াক জহির ও স্থপতি ইকবাল হাবিব

বড়াল ও চলনবিল রক্ষায় দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। সেই সুবাদে বহুবার চলনবিল এলাকায় এসেছেন বাপার সহ সভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিব। এমনই এক সফরে স্কুলটি পরিদর্শনে এসে হবাক হয়ে যান এই স্থপতি। টিনের ঘরে বরেন্দ্র অঞ্চলের তপ্ত গরমে ক্লাশ করছে শিশুরা। বিষয়টি তাঁকে কষ্ট দেয়। বড়াল বিদ্যা নিকেতন স্কুলটি উন্নয়নের পরিকল্পনা করেন তিনি। স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, চলনবিল ও বড়াল পারের বাসিন্দাদের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। বহু মানুষের বাড়িতে গিয়ে ভাত খেয়েছি। পরিবেশ রক্ষায় গ্রামের এই বাসিন্দাদের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। তাঁদের সন্তানেরা মানসম্মত পরিবেশ পায়নি। সেখানে দেখি প্রচন্ড গরমে টিনের ঘরে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে, প্রচন্ড সীমাবদ্ধতার মধ্যে শিক্ষক ও স্কুল সংশ্লিষ্টদের প্রচেষ্টার ত্রুটি নেই। তাই মানুষ গুলোর প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই স্কুলটি আধুনিকীরণের উদ্যোগ নেই। সহযোগিতা হাত বাড়ান বন্ধু ও স্বজনেরা। স্কুলের জন্য নিজেই একটি নকশা করেন ইকবাল হাবিব। স্কুলের নামে পৈতৃক এক একর জমি লিখে দেন মিজানুর রহমান। ২০২৩ সালের জুনে শুরু স্কুল ভবন নির্মাণের কাজ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শেষ হয় কাজ। সেই থেকে নতুন নতুন ভবনে আনন্দে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।
গতানুগতি ধারার বাইরে পরিবেশ বান্ধব ও খোলামেলা পরিবেশের কথা মাথায় রেখে স্কুলটির নকশা করেছেন স্থপতি ইকবাল হাবিব। স্কুলটিতে জানালা নেই, কিন্তুআলো আছে। শান্তি নিকেতনের আদলে ভবনের সামনে তিনটি আমগাছ রয়েছে। সব মিলিয়ে আবদ্ধতার বিপরীতে উম্মুক্ততা রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। আবহমান বাংলার মাটি ও বাংলা উঠানের পরিবেশটাকে ধারণ করার চেষ্টা করা হয়েছে, যাতে করে শিশুরা প্রকৃতি ও পরিবেশকে ভালোবেসে বেড়ে উঠতে পারে। সদিচ্ছা থাকলে সীমিত ব্যয়ে নজরকাড়া স্থাপত্য ও পরিবেশ তৈরি করা যায় এই বিদ্যালয়টি তার উদাহরণ।
স্কুলটির নকশাকার স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, প্রকৃতি আর মানুষ এক সাথে পথ চলা এই গল্পের শুরু এক আন্দোলনের মাধ্যমে। স্থানীয় কৃষক ও মৎস্যজীবীরা প্রতিবাদে সরব হলেন বাঁধ, স্লুইস গেট আর ক্রস ড্যামের মতো কাঠামোর বিরুদ্ধে। এসব কৃত্রিম বাধা বিলের প্রাকৃতিক জলপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়ে নষ্ট করেছিল মাছের ভান্ডার আর উর্বর মাটির গুণ। প্রতি বছর নদীর সঙ্গে আসা পলি বিলে প্রাণ ফিরিয়ে আনত, অথচ নিয়ন্ত্রণের নামে সেই প্রবাহ আটকে দিয়ে প্রকৃতির ভারসাম্য পুরোপুরি নষ্ট করা হচ্ছিল। অবশেষে প্রকৃতি আর মানুষের এই দীর্ঘ লড়াই নতুন এক দিগন্তে পৌছাল। সরকার এগিয়ে এসে শুরু করল পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ। এই উদ্যোগ যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার শিক্ষার জন্য একটি কেন্দ্র গড়ার তাগিদ দিল। স্থপতি ও পরিবেশকর্মী হিসেবে আমরা দাঁড়ালাম প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের পক্ষে। একটি সমাধান, যা মানুষ ও প্রকৃতির সহাবস্থানের সুন্দর উদাহরণ হতে পারে। এই ভাবনা থেকেই আমাদের স্বপ্নের ‘স্কুল’ এর জন্ম। একটি শিক্ষাকেন্দ্র যা প্রকৃতিকে ঘিরে তৈরি, তার সাথে মেল বন্ধনে গড়ে ওঠা এক অনন্যা স্থাপত্য।
বন এর বাড়ি

বন-এর বাড়ি, কালিয়াকৈর চন্দ্রা, গাজীপুর

বাড়িতে প্রবেশের মূল পর্বের পুরোটা জুড়েই কাঁচের দরজা। বাইরে থেকেও ভেতরটা দেখা যায়। ভিত্তি স্থপতিবৃদ্দ লিমিটেডের স্থপতি ইকবাল হাবিব ও ইশতিয়াক জহির তিতাসের কাছে এই বাড়ি তৈরির প্রস্তাব আসার পর তাঁরা বাড়ির মালিকের সঙ্গে বসেন একাধিকবার। তাঁর সঙ্গে কথা বলেই জানতে পারেন নিজেদের জমিতে একটা হলিডে হোম বানাতে চান তাঁরা। এরপর কয়েক দফা জায়গার ম্যাপ, সরাসরি অবস্থান পরিদর্শন এসব করে নানা রকম নকশা করতে থাকেন স্থপতিবৃন্দ। যেহেতু বনের মধ্যে বাড়িটি করা হচ্ছে, তাই কোনো কিছু নষ্ট না করে কীভাবে নকশা করা যায়, সেই ভাবনা ছিল সবার মধ্যে।
স্থপতি ইকবাল হািিবব বলেন, আমরা চাইনি গাছ গুলো কাটা পড়ুক। বরং পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে কীভাবে বাড়িটির নকশা করা যায়, সেটা ভেবেছি। সেই ভাবনা থেকেই বাড়িটি তৈরির জন্য একাধিকবার অল্প বিস্তর নকশা বদলাতেও হয়েছে। বড় বড় গাছ গুলোকে তাদের মতো জায়গা দিয়েই ফাক দিয়ে বাড়িটি গড়ে তোলা হয়েছে। পরিবেশ আর মানুষের সহাবস্থান বজায় রাখা হয়েছে। যেহেতু চারদিকের গাছ গুলোর জন্য জায়গা ছেড়ে বাড়িটি বানানো হয়েছে, তাই বাড়িটির বাইরের দিকে একেক অংশ চন্দ্রাকৃতি ফাঁকা জায়গা রয়েছে। যে জায়গা দিয়ে গাছ গুলো আকাশের দিকে মাথা বাড়িয়ে দিয়েছে। গাছ গুলো পরিবেশ ঠিক রাখছে আর ছাদের ওপর ডাল-পালা মেলে ঘরে শীতল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। পুরো বাড়িটিই খানিকটা ডিম্বাকৃতি। ঘর গুলোর দরজা মুখোমুখি। একটি রুম থেকে আরেকটির গোপনীয়তা আছে। বাড়িটির মাঝখানে ফাঁকা রাখা হয়েছে। রোদের আলো, পূর্ণিমার চাঁদ এই খোলা আকাশ দিয়ে যেমন দেখা যায়, তেমনই দিনের বৃষ্টির ফোঁটাও হাত বাড়িয়ে স্পর্শ করা যায়। মাঝের এই খোলা জায়গা টুকুতেও বেশ কয়েকটি গাছ আছে। আমলকী, সুপারি ছাড়াও নিচে সবুজ ঘাস লাগানো হয়েছে। যেন ঘরের মধ্যেই এক টুকরা খোলা উঠান নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘বন এর বাড়ি’। বাড়ির বাইরের দিকটা মাটির আবহ থাকলে কি হবে, ভেতরটা কিন্তু পুরোপুরি আধুনিক। কাঠের টাইলসে সাজানো মেঝে। ঘরটার বাইরের দিকের প্রায় পুরো অংশে ব্যবহার করা হয়েছে স্বচ্ছ কাঁচ। বাড়ির সদস্য সংখ্যা হিসেবে এখানে মোট চারটি বেডরুম রয়েছে। প্রতিটি বেড রুমের নকশা করা হয়েছে সেই রুমের বাসিন্দার চাহিদা মতো। তবে সবাই ঘর থেকে প্রকৃতি দেখতে চেয়েছেন। যে কারণে কাচের দরজা দিয়ে অবারিত করে দেওয়া হয়েছে প্রকৃতি। ইচ্ছা হলে রুমের ভেতর থেকে সেটি খুলে বাইরে আসা যায়। ঘরের ভেতরের আলো থেকে শুরু করে স্নান ঘর সবকিছুই পরিকল্পিত ভাবে নকশা করে বসানো।
বাড়ির একদিকে সবজির বাগান, আরেক দিকে মাছের পুকুর। আম, জাম, কাঠাল, চালতা ডেউয়ার মতো নানা রকম ফলের পাশাপাশি আছে ফুলের গাছও।
বাড়িটি মাটি থেকে সামান্য উঁচুতে করা হয়েছে। মাথার ওপরের ছাদটি করা হয়েছে দুই স্তরে কিছুটা ঢালু করে। দুই স্তরের মাঝে আবার দুই থেকে তিন ফুটের ফাঁকা রাখা হয়েছে। যাতে বাতাস চলাচলে অসুবিধা না হয়। বেড রুমের ওপরের ছাদ থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া আলোর করণে তাবুর ভেতরে আবহ পাওয়া যায়। আবার মাথার দিকে লাগানো আলোটা জ্যামিতিক নকশায় ঘরের মধ্যে এনে দেয় ভিন্ন এক পরিবেশ। সবুজ বনের ভেতর পাঁচ রুমের এই বাড়িটি যেন এক স্বপ্নরাজ্য।

Scroll to Top