সীমান্তের কাছে ভারতের সেনা ঘাঁটি নির্মাণ সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: স্বাধীনতা সুরক্ষা মঞ্চ | চ্যানেল আই অনলাইন

সীমান্তের কাছে ভারতের সেনা ঘাঁটি নির্মাণ সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: স্বাধীনতা সুরক্ষা মঞ্চ | চ্যানেল আই অনলাইন

বাংলাদেশ সীমান্তের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ভারতের সেনা ঘাঁটি নির্মাণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে জানিয়েছে স্বাধীনতা সুরক্ষা মঞ্চ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে ভারত যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছে বলেও জানিয়েছে সংগঠনটি।

সোমবার ১০ নভেম্বর, স্বাধীনতা সুরক্ষা মঞ্চের সদস্য সচিব শামস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভারতীয় এজেন্ট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সাথে বলতে গেলে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। পলাতক শেখ হাসিনাকে দেশটিতে আশ্রয় দেওয়া এবং এর আগে জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থান দমনে স্নাইপার শটসহ ভারত নানা কার্যক্রম চালিয়েছে। এরপরও যখন তারা পরাজয় বরণ করেছে তখন হলুদ মিডিয়া দিয়ে তথ্যযুদ্ধ এবং পরে পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যা তৈরির মাধ্যমে দেশটি আমাদের দেশের মানুষের সাথে যুদ্ধ চালিয়েছে। এতকিছুর পরেও যখন ভারত এদেশের মানুষের সাথে পেরে ওঠেনি, পরাজয় বরণ করেছে- তখন সেই পরাজয় তারা মেনে নিতে পারেনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থিতিশীল করাসহ নানাভাবে তারা একের পর এক অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়,বাংলাদেশের পঞ্চগড় এবং কুড়িগ্রামসহ বেশ কয়েকটি সীমান্তের কাছে ভারত ৩টি সেনা ঘাঁটি ও স্টেশন তৈরি করেছে। এমনকি সীমান্তের ১ কিলোমিটারের মধ্যে সেনা ঘাঁটি ও সেনা স্টেশন তৈরি করেছে ভারত। আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে সামরিক মহড়া করলেও নিয়ম অনুযায়ী পাশের দেশকে জানাতে হয়, সেখানে কোন ধরনের তথ্য না জানিয়ে সেনা ঘাঁটি নির্মাণকে বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরুপ বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের এত কাছে সেনা ঘাঁটি নির্মাণ করা অবশ্যই ষড়যন্ত্রমূলক।

স্বাধীনতা সুরক্ষা মঞ্চ জানায়, আমরা অতি দুঃখের সাথে লক্ষ্য করলাম, দেশের মিডিয়ায় এ নিয়ে কোন ধরনের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আলোচনা নেই। অন্তর্বর্তী সরকারও যেন সুখনিদ্রায় মগ্ন রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোও অজানা কারণে এ বিষয়ে নির্বিকার। দেশের সীমান্ত অরক্ষিত হয়ে যাচ্ছে, সীমান্তের এত কাছে ভারত সেনা ঘাঁটি ও স্টেশন করছে- অথচ দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষায় সরকারের কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ সীমান্তের এত কাছে কেন সেনা ঘাঁটি ও স্টেশন করা হলো- অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের কাছে জানতে চাইতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় ভারতের ক্যান্টনমেন্টের বিপরীতে পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম সীমান্তসহ চিকেন নেক এলাকায় ক্যান্টনমেন্ট স্থাপন করার জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব এলাকায় ক্যান্টনমেন্ট তৈরি করতে হবে। অথবা কম গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যেসব ক্যান্টনমেন্ট রয়েছে সেগুলোকে এই এলাকায় নিয়ে আসতে হবে। এর পাশাপাশি বিজিবিতে দেশপ্রেমিক ও ভারতের ষড়যন্ত্রকে ভয় না পাওয়া যেসব সেনা অফিসার রয়েছেন, তাদেরকে সীমান্তে পদায়ন করতে হবে।

স্বাধীনতা সুরক্ষা মঞ্চ জানায়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত নানামুখী ষড়যন্ত্র চালিয়ে গেলেও এর বিপরীতে বাংলাদেশ তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। আমরা মনে করি, বিজেপির কবলে থাকা হিন্দুত্ববাদী ভারতের মতো প্রতিবেশী থাকলে বহিঃশত্রুর প্রয়োজন হয় না। এজন্য ভারতের সেনা ঘাঁটি ও স্টেশন স্থাপন করে যুদ্ধাবস্থার বিপরীতে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য আমরা জোরালো দাবি জানাচ্ছি।

Scroll to Top