সিরিয়া ও ইরাকে অবস্থিত ইরানের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই হামলাগুলো সংঘটিত হবে। তবে কবে থেকে হামলা চালানো হবে তা আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
বিবিসি জানিয়েছে, সিরিয়ার সীমান্তের কাছে জর্ডানে একটি ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ওই হামলার জন্য ইরান সমর্থিত একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দারা বিশ্বাস করে যে জর্ডানে হামলার জন্য ব্যবহৃত ড্রোনটি ইরানের তৈরি। ইরান ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য রাশিয়াকে যে ড্রোন পাঠাচ্ছে অনেকটা তার মতই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা আমরা সহ্য করবো না। আমাদের দেশ, আমাদের স্বার্থ, আমাদের নাগরিকদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই থামিয়ে দিতে হবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বেশ কিছু ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী মার্কিন ও ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে।
এদিকে জর্ডানে হামলায় নিহত তিন মার্কিন সেনার মরদেহ শুক্রবার ডেলাওয়্যার এয়ার ফোর্স ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নিহত তিন সৈন্যের নাম উইলিয়াম জেরোম রিভারস, কেনেডি ল্যাডন স্যান্ডার্স এবং ব্রেওনা অ্যালেক্সসন্ড্রিয়া মফেট। তিনজনই জর্জিয়ার ফোর্ট মুরে অবস্থিত একটি সেনা রিজার্ভ ইউনিটের অংশ ছিলেন।