এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারা বিদেশি সফরের অংশ হিসেবে হোয়াইট হাউসে পা রেখেছেন। যা তার দেশের কূটনৈতিক পুনর্গঠন এবং নিজেকে বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটা তার প্রথম হোয়াইট হাউস সফর।
সোমবার ১০ নভেম্বর , সিএনএন ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানান ।
২০১১ সালে, আল-শারা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে আল-কায়েদার সমর্থিত বিদ্রোহী বাহিনী গঠন করেন। কিন্তু দীর্ঘ যুদ্ধ শেষে তিনি সিরিয়ার ক্ষমতা দখল করেন। গত মে মাসে, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যস্থতায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে ‘যুবক, আকর্ষণীয় এবং শক্তিশালী’ বলে অভিহিত করেন। সিরিয়ার ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। তবে কঠোর নিষেধাজ্ঞাগুলি এখনও কার্যকর। যা তিনি হোয়াইট হাউসে মিটমাটের চেষ্টা করবেন।
আল-শারার প্রধান লক্ষ্য সিরিয়ার বৈশ্বিক বিচ্ছিন্নতা দূর করা এবং পশ্চিমা শক্তির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ইসরায়েলের সিরিয়া হামলা বন্ধ এবং ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে চান। যদিও তিনি পশ্চিমের দিকে ঝুঁকছেন। রাশিয়ার সঙ্গেও তার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ২০১৫ সালে ভ্লাদিমির পুতিনের হস্তক্ষেপে আসাদ সরকার টিকে থাকে।
এ সফর সিরিয়ার কূটনৈতিক পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে তার ভূমিকার নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।




