সহিংসতা বৃদ্ধি সত্ত্বেও পাকিস্তানের নির্বাচন ৮ ফেব্রুয়ারি

সহিংসতা বৃদ্ধি সত্ত্বেও পাকিস্তানের নির্বাচন ৮ ফেব্রুয়ারি

সহিংসতা বৃদ্ধি নিয়ে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন, সরকার ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার পরে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বলেছেন, তার দেশ নির্বাচন পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাবে।

রয়টার্সকে পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গোহর ইজাজ বলেছেন, ‘পূর্বে ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশে সহিংসতা বাড়লেও তা নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনও হুমকি হয়ে দাঁড়ায়নি।’

ইজাজ বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা দেব।’

উল্লেখ্য যে, দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশের সশস্ত্র বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গত কয়েক দশক ধরে লড়াই করেছে ইসলামাবাদ।

এদিকে, গত কয়েক দিনে বেলুচিস্তানজুড়ে এক ডজন পৃথক হামলার খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে অন্তত পাঁচটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবার প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটায় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সমাবেশের কাছে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত চারজন নিহত হন।

কোয়েটার একজন পুলিশ কর্মকর্তা তারিক জাওয়াদ বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা বর্তমানে উচ্চ সতর্কতার মধ্যে রয়েছে এবং আমাদের সমস্ত টিম অতিরিক্ত টহল চালাচ্ছে। কারণ, সবাই জানে যে পুরো প্রদেশজুড়ে হুমকি রয়েছে।’

উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে জানুয়ারির শুরু থেকে অন্তত দুই প্রার্থীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র রেহান জেব খানও রয়েছেন। তিনি বাজাউরের সাবেক উপজাতীয় জেলায় একটি জমায়েত করার পরে বুধবার গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

জেলা পুলিশ কর্মকর্তা কাশিফ জুলফিকার এএফপিকে বলেছেন, ‘রেহান জেবের হত্যাকাণ্ড নির্বাচনের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি পরিকল্পিত হত্যা।’

অন্যদিকে কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, খাইবার পাখতুনখোয়ায় ১৫ জন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গত দুই মাসে জঙ্গিদের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ পাকিস্তানের বৃহত্তম কিন্তু দরিদ্রতম দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তানের জাতিগত বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোর সঙ্গে ইসলামাবাদের লড়াই কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

স্থানীয় বিদ্রোহীরা বলছেন, তারা তেল ও গ্যাসের মজুদ থেকে তাদের সম্পদের ন্যায্য অংশ পায় না।

Scroll to Top