চিয়া সিড এখন অনেকের পরিচিত নাম। বিশেষত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে একে অনেকেই এটিকে জাদুকাঠি মনে করেন। তবে শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণই নয়, এই ছোট্ট বীজটিতে এমন অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা হৃদযন্ত্র, হাড়, হজম ও রক্তচাপের জন্যও উপকারী। চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
ক্যালরি কম, ভালো ফ্যাট বেশি ফলে স্বাস্থ্য সচেতনরা নিয়মিত এটি খাদ্যতালিকায় রাখছেন। তবে উপকারের পাশাপাশি, কিছু শারীরিক অবস্থায় চিয়া সিড খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। চলুন, জেনে নিই কারা চিয়া সিড খাওয়ার আগে সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
হজমের সমস্যা থাকলে সাবধান
প্রতিদিন ১ থেকে ২ টেবিল চামচ চিয়া সিড খাওয়া নিরাপদ।
কিন্তু অতিরিক্ত খেলে বা না ভিজিয়ে খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিয়া সিড তাদের ওজনের প্রায় ১০–১২ গুণ পানি শোষণ করে। তাই শরীরে পানির ঘাটতি থাকলে পেট ফাঁপা, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রক্ত পাতলাকারী ওষুধ খেলে ঝুঁকি
চিয়া সিডে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমায়, যা হার্টের জন্য ভালো।
তবে যারা ওয়ারফারিন, অ্যাসপিরিন বা অন্য রক্ত পাতলাকারী ওষুধ খান, তাদের জন্য এটি বিপজ্জনক হতে পারে। এতে অতিরিক্ত রক্তপাত বা ক্ষতের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
রক্তচাপ কম থাকলে চিয়া নয়
চিয়া সিড রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই যাদের রক্তচাপ স্বাভাবিকের তুলনায় কম, তাদের নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়া উচিত নয়। এতে রক্তচাপ আরও কমে গিয়ে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
ডায়াবেটিস থাকলে পরিমাণ মেপে খান
চিয়া সিডে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম এবং এটি রক্তে চিনির শোষণ ধীর করে। তবে ডায়াবেটিসের ওষুধের সঙ্গে চিয়া সিড খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত কমে যেতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াই ভালো।
কিডনি রোগীদের জন্য নয়
চিয়া সিডে প্রচুর ফসফরাস ও পটাশিয়াম থাকে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, বিশেষ করে যাদের কিডনি আগেই দুর্বল। কিডনির রোগীদের এই বীজ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আইএ
