বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি’র সঙ্গে কী কী নিয়ে আলোচনা হলো, তা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, সবগুলো দল প্রধান উপদেষ্ঠাকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে।
“তারা বলেছে, তার নেতৃত্বে তাদের আস্থা আছে। তারা পদত্যাগের বিষয়ে তাকে অনুরোধ করেছেন… উনার নেতৃত্বেই যেন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হয়। নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপি ডিসেম্বরের মাঝে ইলেকশন চেয়েছে। জামায়াত মনে করে, সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ করতে ডিসেম্বর লেগে যাবে। প্রফেসর ইউনূস তিনটি পার্টিকেই বলেছেন যে ইলেকশন ডিসেম্বর থেকে জুনের মাঝেই হবে। জামায়াত তার টাইমলাইনকে সমর্থন জানিয়েছে। এনসিপিও একই।”
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন আগামী বছরের জুনের ৩০ তারিখের মধ্যেই হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপিকে জানিয়েছেন।
“প্রফেসর ইউনূস বিএনপির মিটিং-এ বলেছেন, জুন ৩০ কাট-অফ টাইম। জুনের ওই পাড়ে যাবে না। উনি এক কথার মানুষ। উনি যে কথাটা বলেন, সে কথাটা রাখেন… জুন ৩০ তারিখ একটা সুনির্দিষ্ট ডেট,” বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে “এনসিপি ও জামায়াত মনে করে না যে এখন যে অবস্থায় আছে, তাতে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনের যে পরিবেশ দরকার, সেই পরিবেশ নাই। কোনো লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড নাই। তারা জোর দিয়েছে, যাতে ইলেকশন কমিশনের সংস্কারের মাধ্যমে লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড এনসিওর (নিশ্চিত) করা হয়।”
“সংস্কারের বিষয়ে প্রফেসর আলী রীয়াজ বলেছেন, সংস্কার প্রক্রিয়া ২০শে জুলাইয়ের মাঝে শেষ করে জুলাই চার্টার্ড দ্রুত হবে এবং জুলাই প্রোক্লেমেশনের বিষয়েও আমাদের কাজ হচ্ছে এবং আশা করছি, তা দ্রুত শেষ হবে।”
এরপর সাংবাদিকরা তার কাছে জিজ্ঞেস করেন, দলগুলোর বক্তব্য শুনে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন?
উত্তরে তিনি বলেন, “বিচার প্রক্রিয়ার ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এ মাসেই বিচার শুরু হবে। জুলাই হত্যাযজ্ঞের বিচার এ মাসেই হবে। পার্টিগুলো তাকে অনুরোধ করেছেন, যেন দ্রুত হয়।”
আজকের বৈঠকের পর দেশের রাজনৈতিক সংকট কাটবে কিনা, জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “এটা সংকটের কী হলো, আমরা জানি না। আজকে খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশের তিনটি নেতৃস্থানীয় পার্টির সাথে প্রধান উপদেষ্টার মিটিং হয়েছে।”
“এনসিপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন চেয়েছে। তারা মনে করে, এটা হওয়া উচিত। অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে না। তারা খুব জোর দিয়েছে, যাতে দ্রুত এটা শুরু হয়। সেইসাথে তারা পুরো আওয়ামী লীগ আমলে যত নির্বাচন হয়েছে, প্রত্যেকটিকে ওরা অবৈধ ঘোষণা করার জন্য অনুরোধ করেছে।”
তিন উপদেষ্টার পদত্যাগ প্রসঙ্গে মি. আলমের বক্তব্য, “উনি (প্রধান উপদেষ্টা) এটা শুনেছেন।”
উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিএনপি তাদের কথা বলেছে, আমরা শুনেছি।”