সংবিধান বিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে স্থপতি সমাজের অবস্থান ও দাবী সমূহ- আনন্দ আলো

সংবিধান বিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে স্থপতি সমাজের অবস্থান ও দাবী সমূহ- আনন্দ আলো

বাংলাদেশে কোটা বিক্ষোভে নিহতদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় শোক দিবস, ছাত্র ও সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ

আজ বাংলাদেশ সরকার কোটা বিক্ষোভে নিহতদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত ছাত্র ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।


সম্পর্কিত

সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে, অনেক ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ ফেইসবুকে লাল রঙ ব্যবহার করছে। তারা লাল রঙকে আন্দোলন চালিয়ে যাবার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করছেন। তাদের মতে, সরকারী শোক দিবস পালনের মাধ্যমে মূল আন্দোলনের উদ্দেশ্যকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ফেইসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলোতে লাল রঙের ব্যবহার ক্রমশ বেড়ে চলেছে। লাল রঙের মাধ্যমে তারা আন্দোলনের শক্তি এবং দৃঢ়তা প্রকাশ করছে। অনেকেই বলছেন যে, রাষ্ট্রীয় শোক দিবস পালনের মাধ্যমে সরকার আসলে জনগণের আসল দাবি থেকে দৃষ্টি ফেরানোর চেষ্টা করছে।

ছাত্ররা বলছেন, “আমরা লাল রঙ ব্যবহার করছি কারণ এটি আমাদের রক্তের প্রতীক, আমাদের সংগ্রামের প্রতীক। আমরা চাই না এই শোক দিবসের মাধ্যমে আমাদের আন্দোলনকে স্তব্ধ করা হোক।”

সাধারণ মানুষও এই আন্দোলনে তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, “আমাদের সন্তানেরা রক্ত দিয়েছে, আমরা সেই রক্তের মূল্য দিতেই লাল রঙ ব্যবহার করছি।”

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে বিক্ষোভে নিহতদের স্মরণে বিশেষ প্রার্থনা এবং অন্যান্য কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়েছে। তবে, ছাত্র ও সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে যে, এই শোক দিবসের মাধ্যমে মূল আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা এবং দাবি চাপা দেয়া যাবে না।

এই পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী উত্তেজনা বাড়ছে এবং সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে কিভাবে এই বিরোধিতা সামলানো যায়। আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি কীভাবে পরিবর্তিত হয়, তা দেখতে সবাই অপেক্ষা করছে।

Scroll to Top