শেখ জামাল হত্যাকাণ্ডের সাথে জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ পরশ বলেন, শেখ জামাল হত্যাকাণ্ডের সাথে জিয়া যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তার ইঙ্গিত পাওয়া যায় জিয়াউর রহমানেরই পরবর্তী কার্যকলাপের মধ্যেই। সে জন্যই জিয়ার অবৈধ সরকার খুনিদের পুরষ্কৃত করে। সেই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের বিচার করা যাবে না বলে দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারি করে জিয়াউর রহমানের পার্লামেন্ট। খুনিদের বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়, দুজন খুনিকে জনগণের ভোট চুরি করে জাতীয় সংসদে সদস্যপদ দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, শেখ জামালসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারদের রক্তে রঞ্জিত এই জিয়াউর রহমানের হাত। তাই জিয়াউর রহমানের বিএনপির নেতৃবৃন্দ যখন গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের কথা বলে, ওদেরকে তখন বড়ই নির্লজ্জ মনে হয়।
একটা স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচনের দাবি জানান তিনি।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, পঁচাত্তরের খুনিরা রাজনৈতিক গভীর ষড়যন্ত্রকে পারিবারিক কলহের রূপ দিতে চেয়েছিল। তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার ও তার ভাগ্নে শহীদ শেখ ফজলুল হক মণিসহ সবাইকে হত্যা করে খুনিরা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত ও জাফর ওয়াজেদ এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল এমপি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. সোহেল পারভেজসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।