হার্টের রোগ এখন ঘরে ঘরে। শুধু বয়স্কদের নয়, অল্পবয়সীদের মধ্যেও দিন দিন বাড়ছে হার্টের রোগ। এর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হার্ট অ্যাটাক। বর্তমানে সারা বিশ্বে মৃত্যুর শীর্ষ কারণ হার্ট অ্যাটাক। আর এর নেপথ্যেই রয়েছে প্লাস্টিকের ভূমিকা।
শনিবার (৩ মে) হিন্দুস্তান টাইমস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের একটি ল্যানসেট স্টাডি জানিয়েছে, বছরে সাড়ে তিন লাখ হার্ট অ্যাটাকের নেপথ্যে প্লাস্টিকের ভূমিকা রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে ল্যানসেটের তরফে এই সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা গেছে, বছরে সাড়ে তিন লাখ হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে প্লাস্টিক তৈরির মূল উপাদান থ্যালেট যৌগ। থ্যালেট প্লাস্টিককে নরম করতে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন প্লাস্টিকের বাটি, বোতল ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে এই যৌগ শরীরে প্রবেশ করে।
গবেষণাটি করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সি ব্যক্তিদের নিয়ে। গবেষকদের কথায়, সাড়ে তিন লাখ হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা ভারতেই সবচেয়ে বেশি। ভারতের পরে রয়েছে চীন। তার পরে ইন্দোনেশিয়া। ভারতে বছরে এক লাখের বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন।
গবেষকরা জানায়, থ্যালেটের গুরুতর সংক্রমণ দেখা গেছে মূলত দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য পূর্ব ও পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে। এই অঞ্চলে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর সংখ্যা ওই সাড়়ে তিন লাখের প্রায় ৭৫ শতাংশ।
তারা জানান, হার্ট অ্যাটাকের নেপথ্যে প্লাস্টিকের সম্পূর্ণ নয় আংশিক ভূমিকা রয়েছে। গোটা বিশ্বে যত সংখ্যক হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়, তাদের মধ্যে প্লাস্টিকজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ শতাংশ। তবে হার্টের ক্ষতি ছাড়াও আরও বেশ কিছু অঙ্গের ক্ষতি করে থ্যালেট তথা এই প্লাস্টিক।