নির্বাচনে মহাবিপর্যের পর আবারও বিভক্তির পথে জাতীয় পার্টি। দলের একটি অংশ চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে বাদ দিয়ে রোববার রাজধানীতে সভা ডেকেছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, তারা সভায় কী সিদ্ধান্ত নেন, তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার ১৩ জানুয়ারি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে চুন্নু বলেন, যৌক্তিক কারণেই কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়কে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
গত বুধবার যখন জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ দলের এমপিরা শপথ অনুষ্ঠানে ছিলেন, তখন বনানী কার্যালয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছিলেন জাতীয় পার্টির কয়েকজন নেতাকর্মী। নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে দায়ী করে তাদেরকে দল থেকে পদত্যাগের সময় বেঁধে দেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনার পরিকল্পনার অভিযোগে শুক্রবার দলের কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়কে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তকে পাত্তা দেওয়ার কিছু নেই বলে মনে করছেন অব্যাহতি পাওয়া সুনীল শুভ রায়।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাজধানীতে এক সভার আয়োজন করেছে দলের বিক্ষুব্ধ ওই অংশ। সভা ডাকায় দলের ওই অংশের বিরুদ্ধে সকালে বনানী কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব জানিয়েছেন, রোববার তাদের কোন সভা নেই। কথা বলেন, দলের দুই নেতাকে বহিষ্কার করা নিয়েও। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি হবে সংসদের বিরোধীদল। স্বীকৃতি না পেলেও বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা রাখবেন তারা।