শাটডাউনে যুক্তরাষ্ট্রে ৩২শ ফ্লাইট বাতিল, বিলম্বে চরম ভোগান্তি | চ্যানেল আই অনলাইন

শাটডাউনে যুক্তরাষ্ট্রে ৩২শ ফ্লাইট বাতিল, বিলম্বে চরম ভোগান্তি | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি শাটডাউনের কারণে বিমান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দেশজুড়ে ৩ হাজার ২শ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল এবং আরও ১০ হাজারের বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফ্লাইট ট্র্যাকিং সংস্থা ফ্লাইটঅ্যাওয়্যার। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজার হাজার যাত্রী।

সোমবার (১০ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে তহবিল বিল নিয়ে অচলাবস্থা ৪০ দিনে পৌঁছানোর পর রোববার একটি অস্থায়ী সমঝোতায় পৌঁছানো হলেও, তার আগেই দেশজুড়ে ভ্রমণ বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) গত সপ্তাহে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ধীরে ধীরে কমানোর নির্দেশ দেয়। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারীদের (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার) ক্লান্তি ও কর্মবিরতির প্রবণতা বাড়ছে।

মার্কিন সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কর্মী হিসেবে বিবেচিত প্রায় ১৩ হাজার নিয়ন্ত্রক ১ অক্টোবর থেকে বেতন ছাড়াই কাজ করছেন, যা তাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়াচ্ছে।

এফএএ নির্দেশনা অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল থেকে ফ্লাইট সংখ্যা ৪ শতাংশ কমানো হয়। সোমবার থেকে ৬ শতাংশ, বৃহস্পতিবার থেকে ৮ শতাংশ, আর শুক্রবারের মধ্যে তা ১০ শতাংশে পৌঁছাবে বলে জানানো হয়েছে।

গত তিন দিনে ফ্লাইট বাতিলের হার দ্রুত বেড়েছে। শুক্রবার প্রায় ১ হাজার, শনিবার ১ হাজার ৫০০ এবং রোববার ৩ হাজার ২৯২টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

মার্কিন পরিবহন সচিব শন ডাফি সতর্ক করেছেন, থ্যাঙ্কসগিভিংয়ের আগে বিমান ভ্রমণ প্রায় থমকে যেতে পারে। সবাই পরিবার দেখতে ভ্রমণ করতে চাইবে, কিন্তু ফ্লাইট চলাচল তখন আরও ধীর হয়ে পড়বে। তিনি আরও বলেন, যতদিন বিমান নিয়ন্ত্রকদের বেতন বন্ধ থাকবে, পরিস্থিতি কেবল খারাপের দিকেই যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাঙ্কসগিভিং সময়টি বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত ভ্রমণ মৌসুম। গত বছর (২০২৪) এ সময় প্রায় ৮ কোটি আমেরিকান ভ্রমণ করেছিলেন এবং ছুটির পরদিন বিমানবন্দরে রেকর্ড ৩ কোটি ৯ লাখ যাত্রী স্ক্রিনিং করা হয়েছিল।

এদিকে রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত সরকারি কার্যক্রমের জন্য তহবিল পুনর্বহালের বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে পরিকল্পনাটি কার্যকর করতে সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের অনুমোদনের পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষর প্রয়োজন।

Scroll to Top