লাইফস্টাইল ডেস্ক
সুন্দর দেহ সবাই চান। বিশেষ করে কোরবানির সময়ে চর্ব্য, চোষ্য, লেহ্য, পেয় খেয়ে এই সময়ে নিশ্চয়ই অনেকেরই মনে হচ্ছে জিমে যাওয়ার কথা। একটা কথা বাঙালির শরীরচর্চার ক্ষেত্রে খুব প্রযোজ্য যে অধিকাংশেই শরীরচর্চা শুরু করে তা চালু রাখতে পারেন না। ঠিক যেভাবে জিমেও ভর্তি হন অনেকে। কিন্তু নিয়মিত জিমে আর যাওয়া হয় না। ভর্তি হয়েও কয়েকদিন পর থেকে আর যান না। কারও কারও সময় হয় না।
অনেকেই শুধুমাত্র আলসেমি করে জিমে যেতে চান না। মনে রাখা ভালো যে, ওজন কমানোই জিমে যাওয়ার একমাত্র লক্ষ্য নয়, শারীরিক অবয়ব ঠিক রাখতে বা ডাক্তারের পরামর্শে স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও জিমে যাওয়ার অভ্যাস করা ভাল।
আজ তাই জেনে নেই কয়েকটি কৌশল, যা আমাদের সব আলসেমি ঝেড়ে ফেলে জিমে গিয়ে ব্যয়াম করার অভ্যাসটি তৈরি করতে সাহায্য করবে।
শুরুটাই গুরুত্বপূর্ণ
জিমে গেলে সেখানকার ফিট লোকজন আমাকে নিয়ে হাসবে বা জিম ছেড়ে দিলে মোটা হয়ে যাবো এই ভয়ে অনেকেই জিমে যেতে চাননা। শুরু করার সময়ে ঘিরে ধরা দ্বিধা দূর করে জিমে যেতে হবে কারন সেখানে বিশেষজ্ঞ লোকজনের তত্বাবধানে আপনি সঠিক পদ্ধতিতে ব্যায়াম করতে পারবেন আর উপকৃত হবেন।
খেলা হিসাবে নিন
জিমে যাওয়াকে আনন্দময় করতে সেটাকে খেলা হিসাবে নিতে পারেন। যেমন একটা ক্যালেন্ডার নিয়ে সেটাতে রোজ জিম থেকে ফিরে লাল কালি দিয়ে ক্রস চিহ্ন দিয়ে রাখতে পারেন। আপনার লক্ষ্য হবে ক্রসচিহ্নগুলোকে যতটা সম্ভব একটানা আর লম্বা করা।
সুন্দর ব্যায়ামের পোশাক কিনুন
কিছু গবেষণা বলে যে লাল রঙের জিমের পোশাক প্রতিদিন জিমে যেতে এবং ওজন কমাতে উৎসাহ দেয়। তাই আসুন জিমে যাওয়ার আগে চমৎকার একসেট জিমের পোশাক কিনি।
বাসার কাছাকাছি জিম খুঁজে বের করুন
আপনার যখন নানা অজুহাতে জিমে যাইতে ইচ্ছা করবেনা, যেমন ধরুন খারাপ আবহাওয়া, যানবাহনের সমস্যা, আজ না কাল যাবো ধরনের চিন্তা আসবে তখন বাসার কাছে জিম থাকলে জিম বাদ পড়বেনা।
পারিপার্শ্বিক অবস্থার দিকে খেয়াল রাখুন
ব্যায়াম করার সময় নিজের প্রিয় গান বা মিউজিক শুনতে পারেন। এতে মুডও ভালো থাকবে। বলা হয়ে থাকে ভালো মুডে জিম করলে সফলতার হার বেড়ে যায়।
স্বল্পসময়ের জন্য সদস্যপদ কিনুন
শুরুতেই বছরখানেকের জন্য সদস্যপদ না কিনে চেষ্টা করুন তিনমাসের জন্য সদস্যপদ কিনতে। এই সামান্য কৌশল অবলম্বন জিমের সাফল্যের ব্যাপারে আপনার আগ্রহ বেড়ে যাবে, অনেক টাকাও ব্যয় হবেনা, আবার অল্প অল্প করে সাফাল্য পেতে থাকলে জিমে যাওয়ার আগ্রহ খুঁজে পাবেন।
পূর্বপরিকল্পনা তৈরি করুন
কবে, কখন আর কীভাবে জিমে যাবেন, সেখানে গিয়ে কী করবেন সব আগে থেকে লিখে ফেলুন। এতে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ব্যায়ামের পদ্ধতির ব্যাপারেও আপনার আগে থেকে ধারনা তৈরি হবে আর প্রথমবারের মতো জিমে যাওয়া নিয়ে দ্বিধা দূর হবে।
জিমের ব্যাগ হাতের কাছেই রাখুন
জিমে যাওয়ার জন্য একসেট পোশাক, পানির বোতল ইত্যাদি গুছিয়ে ব্যাগটি চোখের সামনে রাখুন, যাতে আজ নয় কাল যাবো ধরনের চিন্তা মাথায় আসলেও ব্যাগ দেখে সেটা দূর হয়ে যায়।
সম্ভব হলে একজন ব্যক্তিগত কোচ নিয়োগ দিন
একজন ভালো কোচ নিয়োগ দিলে লক্ষ্য অর্জনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কারন জিমের মাঝে ফাঁকিবাজি বা আড্ডাবাজি করে সময় নষ্ট করার চিন্তা আসলে কোচ সেটা কখনওই করতে দেননা।
মাসের শেষে নিজের জন্য আনন্দদায়ক কিছু করুন
রেগুলার জিমে গেলে নিজেকে দারুণ একটা উপহার দিন, প্রিয় রেস্টুরেন্ট থেকে ঘুরে আসুন। নিজেই নিজেকে এপ্রিসিয়েট করা খুব জরুরি প্রতিদিন জিমে যাবার অভ্যাস ধরে রাখতে।
নতুন করে আবিষ্কার করুন সঙ্গীকে
নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের পাশাপাশি মনও ভালো থাকবে। এতে আপনার মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা আসবে, যা আপনার আশপাশের মানুষকে ভালো রাখবে। নিজের সঙ্গীর প্রতিও আবার নতুন করে মুগ্ধতা কাজ করবে।
সারাবাংলা/এসবিডিই