নয়াদিল্লি, ১২ জুন – রাজস্থানের বালোত্রা জেলার আরাবা গ্রামের নববধূ খুশবু রাজপুরোহিত স্বামীর সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করতে লন্ডন যাচ্ছিলেন। কিন্তু আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ । ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান খুশবুসহ বিমানে থাকা ২৪১ যাত্রী।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে খুশবুর বিয়ে হয়েছিল মনফুল সিং নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে, যিনি বর্তমানে লন্ডনে পড়াশোনা করছেন। বিয়ের পর এটি ছিল তাদের প্রথম সাক্ষাতের সুযোগ।
ভারতীয় সংবাদপত্র এনডিটিভি এই সংবাদ প্রকাশ করেছে।
স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজবন্দর থেকে বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি উড্ডয়ন করে। এটি কোনো স্টপওভার ছাড়াই লন্ডনের গ্যাটউইক বিমান বন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের পর ৮২৫ ফুট উচ্চতায় পৌঁছেই হঠাৎ করে নিচে নামতে শুরু করে এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট ‘মেডে কল’ সংকেত পাঠালেও এরপর আর কোনো যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।
ফ্লাইটে মোট ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডীয় এবং সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন। রাজস্থান থেকেই সর্বোচ্চ সংখ্যক যাত্রী ছিলেন, মোট ১১ জন। তাদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাজ্যে রাঁধুনি হিসেবে কাজ করতে যাওয়া দুই যুবক এবং একজন মার্বেল ব্যবসায়ীর ছেলে-মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর আকাশে বিশাল এক কমলা রঙের আগুনের গোলা দেখা যায়, যা মাইলখানেক দূর থেকেও চোখে পড়ে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, উড়োজাহাজটিতে ৮০-৯০ টনেরও বেশি দাহ্য ফুয়েল ছিল, যা বিস্ফোরণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে। জনাকীর্ণ এলাকায় দুর্ঘটনাটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রূপ নেয়।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বিমানের ধ্বংসস্তূপের একটি অংশ গিয়ে পড়ে বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের ওপর, এতে পাঁচজন মেডিকেল শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের সহযোগিতায় এয়ার ইন্ডিয়া একটি জরুরি হটলাইন নম্বর চালু করেছে। উড়োজাহাজ সংস্থা জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সর্বাত্মক সহায়তা দিতে তারা প্রস্তুত
সূত্র: বার্তা২৪.কম
আইএ/ ১২ জুন ২০২৫