স্পোর্টস ডেস্ক
শেষ মুহূর্তে গোল করে জয়টা রিয়াল মাদ্রিদের এক প্রকার অভ্যাসই হয়ে দাঁড়িয়েছে। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল করে জয় ছাড়া যেন রিয়ালের জয় পূর্ণতা পায় না। চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ইউনিয়ন বার্লিনের বিপক্ষের ম্যাচেও সমর্থকদের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিল অল হোয়াইটসরা। প্রথমে মদ্রিচের পেনাল্টি মিস। এরপরেই গোল হজম। পরে এগিয়ে গিয়েও সমতায় ফেরা আর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তের গোলে জয়। এতেই গ্রুপ পর্বের ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই জয়ের দেখা পেল ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
গ্রুপ সি থেকে রিয়ালের সঙ্গী হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে নাপোলি। এছাড়া তৃতীয় হয়ে ইউরোপা লিগে ব্রাগা আর চতুর্থ হয়েছে ইউনিয়ন বার্লিন।
ঘরের মাঠে দ্বিতীয় মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ পায় বার্লিন। জার্মান ফরোয়ার্ড কেভিন বেরেন্সের ভলি ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা। এদিকে সুযোগ আসে রিয়ালের সামনেও। ১০ মিনিটের মাথায় বেলিংহামের দারুণ শট আটকে দেন বার্লিন মিডফিল্ডার। এরপর রিয়াল স্ট্রাইকার হোসেলুর হেড বারে লেগে প্রতিহত হয়।
আধিপত্য ধরে রাখা রেয়াল প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে পেনাল্টি পায়। স্পট কিকে মদ্রিচ শট নেন সোজাসুজি। আগেই এক দিকে ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষক বল ঠেকান পা দিয়ে। বার্লিনের বক্সে তাদের ডিফেন্ডার গিয়োগো লেইতের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
মদ্রিচের পেনাল্টি মিসের পরের মুহূর্তেই বার্লিন গোলরক্ষকের চৌকস সিদ্ধান্তে দারুণ এক গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। বক্সের বাইরে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় পড়ে যান রেয়াল ডিফেন্ডার ডাভিড আলাবা। ভেতরে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন কেভিন ভলান্ড। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে বার্লিন।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে ফিরেই গোল পেয়ে যাচ্ছিল রিয়াল তবে এবার বাধা হয়ে দাঁড়ান বার্লিন গোলরক্ষক। রদ্রিগোর দুর্দান্ত হেডার ফেরান তিনি। ৬১তম মিনিটে সমতা ফেরান হোসেলু। রদ্রিগোর ক্রসে হেডে বল জালে পাঠান ৩৩ বছর বয়সী স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ১০ মিনিট পর আরেকটি হেডে দলকে এগিয়ে নেন তিনি।
নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে জোরাল শটে সমতা টেনে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন অ্যালেক্স ক্রাল। নাটকীয়তার তখনও বাকি। ৮৯তম মিনিটে বেলিংহামের পাস ধরে বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভেদে রেয়ালকে জয় এনে দানি সেবায়োস। আর তাতেই ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।
সারাবাংলা/এসএস