রাশিয়া ইস্যুতে চীনকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র | চ্যানেল আই অনলাইন

রাশিয়া ইস্যুতে চীনকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র | চ্যানেল আই অনলাইন

বেইজিং-এ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৈঠক করেছেন। বৈঠকে চীনকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন করার বিষয়ে সতর্ক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সতর্কতার জবাবে শি জিনপিং বলেন, চীন প্রতিযোগিতাকে ভয় পায় না, তবে প্রতিযোগিতা হওয়া উচিত অগ্রগতির বিষয়ে।

বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল বিকালে বেইজিংয়ে গণ-মহাভবনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্টনি ব্লিঙ্কেন।

বৈঠকে শি জিনপিং বলেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের আত্মবিশ্বাস, সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নশীলতা দেখে খুশি এবং চীন আশা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও চীনের উন্নয়ন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে নেবে। চীন বর্তমানে বিশ্ব শান্তির দায়িত্ব, বিশ্বের সমস্ত দেশের জন্য উন্নয়নের সুযোগ তৈরি, বিশ্বের জন্য জনসাধারণের পণ্য সরবরাহ করা এবং বিশ্ব ঐক্যে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করার দিকে আগ্রহী।

বৈঠকের শুরুতেই ব্লিঙ্কেন চীনের ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধে রাশিয়াকে সমর্থন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সাউথ চীন সাগরে তাইওয়ানের সাথে চীনের বিপজ্জনক অবস্থান নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ব্লিঙ্কেন বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তর অঞ্চলে গাজা সংঘাত ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তারে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়াতে ইরানকে নিরুৎসাহিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। চীনের সাথে আমরা শক্তিশালী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আশা করছি।

চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, একবার এই মৌলিক সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে চীন-মার্কিন সম্পর্ক সত্যিকার অর্থে আরও ভালো হবে এবং এগিয়ে যাবে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত প্রতিপক্ষের পরিবর্তে অংশীদার হওয়া। একে অপরের ক্ষতি না করে একে অপরকে সফল হতে সাহায্য করা।

গত বুধবার চীনের সাংহাইয়ে পৌঁছান ব্লিনকেন। সেখানে তিনি চীনের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। শুক্রবার বেইজিং পৌঁছে তিনি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ির সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

চীনে এমন সময় সফর করছেন ব্লিনকেন যখন ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ধুকতে থাকা রুশ সামরিক শিল্প বেইজিংয়ের পরোক্ষ সমর্থনে আবার চাঙ্গা হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন।

Scroll to Top