স্পোর্টস ডেস্ক
২০২১ সালে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ১৬ বছরের সম্পর্কের ইতিটানেন সার্জিও রামোস। এরপর পিএসজি ঘুরে আবারও লা লিগায়। তবে রিয়াল মাদ্রিদে নয়, ফিরেছেন পুরাতন ঠিকানা সেভিয়ায়। লা লিগায় ফেরার পর দেড় দশকের ঠিকানা রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ফিরেছেন সার্জিও রামোস। এবার সেভিয়ার রক্ষণভাগের দায়িত্ব কাঁধে তুলে। রামোসের ঘরে ফেরার রাতে রিয়াল মাদ্রিদকে জিততে ঘাম ছুটে গেছে। লুকা মদ্রিচের ডি বক্সের বাইরের থেকে করা দুর্দান্ত গোলে রিয়াল মাদ্রিদের জয় নিশ্চিত হয়।
সেভিয়ার বিপক্ষের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে গেল ৮ পয়েন্টের ব্যবধানে। ২৬ ম্যাচে ২০ জয় আর ৫ ড্র’তে রিয়ালের পয়েন্ট ৬৫। সমান ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলা জিরুনা ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে তিনে। রিয়ালের কাছে হারা সেভিয়া ২৪ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে ১৫ নম্বরে।
আগে থেকেই ঘরের ছেলেকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতির কথা জানিয়ে রেখেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সার্জিও রামোসের বার্নাব্যুতে ফেরার রাতকে রাঙাতে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সবার শেষ নামটি নেওয়া হয় সার্জিও রামোসের। আর এরপর রামোসের নাম লাউডস্পিকার ঘোষণা দিয়ে দর্শকদের করতালির জন্য কিছুক্ষণ সময়ও দেওয়া হয়। আর রিয়ালের রক্ষণভাগের শ্রেষ্ঠ সেনানিকে অভিবাদন জানাতে ভুলেনি বার্নাব্যুবাসী।
রিয়ালের বিপক্ষে খেলতে নেমে সেই চিরচেনা রামোস হয়েই খেললেন। একের পর ট্যাকেলে ভিনিসিয়াসদের বেশ ভালোভাবেই আটকেছেন রামোস। তবে সেভিয়ার রক্ষণ এদিন ভাঙতে বেশ বেগ পেতে হয়েছ রিয়াল মাদ্রিদকে। সেভিয়ার জমাট বাধা রক্ষণ ছেড়ে খেলোয়াড়রা মধ্যমাঠেও উঠে আসেনি। তাই তো রিয়ালকে গোলের জন্য গোটা ম্যাচই খেলতে হয়েছে হাই লাইন ধরে রেখে।
যদিও ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় ভিনিসিয়াস জুনিয়রের দারুণ এক পাস থেকে ডি বক্সের ভেতর বুক দিয়ে বল নামিয়ে গোল করেন লুকাস ভাস্কেজ। তবে এই গোলের আগে বিল্ডআপের সময় নাচো ফার্নান্দেজ প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ফাউল করায় ভিএআর দেখে রেফারি গোল বাতিল করেন। এরপর রিয়াল একের পর এক আক্রমণ করে গেলেও ভাঙতে পারেনি সেভিয়ার রক্ষণভাগ।
গোটা ম্যাচের ৬৪ শতাংশ বল দখলে রেখে মোট ১৬ বার শট নেয় রিয়াল। যার মধ্যে ৬টি শট রাখতে পেরেছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে সেভিয়া মাত্র একটি শটই রেখেছিল লক্ষ্যে।
প্রথমার্ধের গোলশূন্য অবস্থার পর দ্বিতীয়ার্ধেও দারুণ শুরু করে রিয়াল। ৪৮তম মিনিটে দুর্দান্ত এক আক্রমণ থেকে ডি বক্সে বল পেয়ে শট নেন ফেদে ভালভার্দে। তবে তার দুর্বল শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসলে হতাশা বাড়ে রিয়ালের। এরপর একের পর এক সেভ দিয়ে সেভিয়াকে ম্যাচে ধরে রাখে দলটির গোলরক্ষক নাইলান্ড।
৭৫ মিনিটের মাথায় নাচো ফার্নান্দেজকে তুলে নিয়ে লুকা মদ্রিচকে মাঠে নামান কার্লো আনচেলোত্তি। মাঠে নেমে মাত্র ছয় মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক গোল করে রিয়ালকে এনে দেন কাঙ্খিত লিড। ভালভার্দের ফ্লিক করা বল ডি বক্স থেকে ক্লিয়ার করেন বাদে। তবে ডি বক্সের বাইরেই বল পেয়ে যান মদ্রিচ। আর বল পেয়ে একজন সেভিয়া খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বাঁকানো শট নিয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে। আর তাতেই ভাঙে সেভিয়ার রক্ষণ দূর্গ। আর রিয়াল পেয়ে যায় গোলের দেখা।
নির্ধারিত সময়ের ৯ মিনিট বাকি থাকতে লুকা মদ্রিচের করা ওই একমাত্র গোলই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। এক ম্যাচ পর লিগে জয়ের স্বাদ পেল রেয়াল। গত রাউন্ডে রায়ো ভায়োকানোর সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল স্প্যানিশ লিগের শীর্ষে থাকা দলটি।
সারাবাংলা/এসএস