পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ অসীম মুনির বলেছেন, নির্বাচন শুধু জয়-পরাজয় নির্ধারণের প্রতিযোগিতা নয় বরং এটি জনগণের ম্যান্ডেট নির্ধারণের মহড়া। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে মন্তব্য করে রাজনীতিবিদদের ‘পরিপক্কতা এবং ঐক্য’ দেখাতে বলেছেন তিনি।
শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে সেনাবাহিনীর পছন্দের দলকে সরকার গঠন করতে প্রয়োজন অন্য দলের সাথে জোট গঠন করা।
সেনাপ্রধান আরো বলেন, ‘নির্বাচন ও গণতন্ত্রের অর্থ হচ্ছে জনগণের সেবা করা। ২৫ কোটি মানুষের এই দেশটিতে বিশৃঙ্খলা ও মেরুকরণের রাজনীতি মানায় না। এসব দূরে সরিয়ে সঠিক নেতৃত্ব প্রয়োজন, যার নেতৃত্বে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
সৈয়দ অসীম মুনির বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং তাদের কর্মীদের অবশ্যই নিজ স্বার্থের ঊর্ধ্বে কাজ করতে হবে এবং সমন্বিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে শাসন-ক্ষমতা পরিচালনা এবং জনগণের সেবা করতে হবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগারে বন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুগত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়ের বিপরীতে সেনা সমর্থিত পাকিস্তান মুসলিম লীগ এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন সংখ্যাগরিষ্ঠ জয়ের সম্ভাবনা হারিয়েছে।
যদিও এরই মধ্যে হাত মেলানোর ঘোষণা দিয়েছে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএলএন এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি। এই জোট গড়লে পার্লামেন্টের নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাবেন তারা। তাই বেশি আসন পেলেও এই জোটের কাছে হেরে যাচ্ছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয় গত বৃহস্পতিবার। তবে এখনও পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ হয়নি। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ২৫৩ আসনের প্রাথমিক ফলে কারারুদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন। আসন সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। তৃতীয় স্থানে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি।