রাইদার চালকের নেই লাইসেন্স-বাসের ফিটনেস – DesheBideshe

রাইদার চালকের নেই লাইসেন্স-বাসের ফিটনেস – DesheBideshe

ঢাকা, ২০ এপিল – বেপরোয়া গতিতে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণাধীন অস্থায়ী বাউন্ডারি ভেঙে চাপা দেয়া সিভিল এভিয়েশনের ইঞ্জিনিয়ার মাইদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় রাইদা বাসের চালককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দীর্ঘদিন থেকে বাসচালক হাসান মাহমুদ হিমেল (২৫) বাসটি চালালেও তার কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। সেই সাথে যে বাসটি চালাচ্ছিলেন সেটিরও কোনো ফিটনেস ছিল না।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় র‍্যাব-১ এর প্রধান কার্যালয়ে উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মাসুদ হায়দার এই তথ্য জানান।

র‍্যাব-১ এর এই কর্মকর্তা বলেন, কোনো যানবাহন চালানোর জন্য লাইসেন্স প্রয়োজন হয়। কিন্তু যাত্রীবাহী বাস চালানোর জন্য তার লাইসেন্স ছিল না। এমনকি গাড়িটির ফিটনেসসংক্রান্ত কাগজও ছিল না। তাকে গ্রেফতারের পর তার সহকারী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন তাকেও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

র‌্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসের চালক মাহমুদ হাসান ও তার হেলপার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। চালক বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর এলাকায় লুকিয়ে ছিলেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। হাসান ওই এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উত্তরার সড়ক হয়ে নিহত প্রকৌশলী যাচ্ছিলেন। এসময় তাকে পেছন দিক থেকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয় এবং তাকে চাকার নিচে পিষে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণাধীন অস্থায়ী বাউন্ডারি ভেঙে বাসটি ভেতরে ঢুকে যায়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকীকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে চালক ও হেলপার পালিয়ে যান।

এদিকে নিহত ইঞ্জিনিয়ারের পরিবারের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় চালক হাসানকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২০ এপিল ২০২৪

Scroll to Top