এস. এম. এম. মুসাব্বির উদ্দিন
পবিত্র মাস রমজান মাস। এই মাসে আমরা রোজা রেখে মহান আল্লাহর ইবাদত পালন করে থাকি। আমরা এই মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাবার বা পানি পান করা থেকে বিরত থাকি৷ রমজান মাস নিয়ে আল্লাহ বলেন,
“রমজান মাস। এ মাস পেলেই মুমিন মুসলমানের জন্য রোজা রাখা আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে তারা যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে এবং কেউ অসুস্থ থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করবে।” (সূরা আল বাকারাহ, আয়াত ১৮৫)
এ মাসে আমাদের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। এরকমই পাঁচটি স্বাস্থ্যবিধি আপনাদের জন্য আলোচনা করা হলো।
এক. ইফতারের সময় তেল জাতীয় খাবার যেমন- বেগুনি, পেঁয়াজু, আলো চপ, চিকেন ইত্যাদি কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার হৃদরোগ এবং অন্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যতটুকু পারেন চেষ্টা করবেন এ ধরনের খাবার কম খাওয়ার।
দুই. ইফতারের সময় বেশি চিনি দিয়ে বানানো শরবত কম পান করবেন। অথবা চেষ্টা করবেন কম চিনি দিয়ে বানানো শরবত পান করতে। চিনি বেশি খাওয়ার কারণে শরীরে চর্বি জমে, ফলে হৃদরোগসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
তিন. সেহরিতে সহজপাচ্য খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। যেমন- ফলমূল, দুধ চিড়া ইত্যাদি এগুলো খেতে পারেন। কারণ, সারাদিন রোজা রাখতে এসব খাবার সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পানি অবশ্যই পান করবেন কিন্তু একবারে বেশি পান করা ঠিক না।
চার. বাইরের খাবার যতটুকু সম্ভব বাদ দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ, এ ধরণের খাবারে জীবাণু থাকতে পারে। যা থেকে আপনার পাকস্থলীতে নানা রকম জটিলতা হতে পারে। ফলে আপনার ইবাদতের বাধা সৃষ্টি হবে।
পাঁচ. যারা ডায়বেটিস রোগে আক্রান্ত, তারা উচিত এ মাসে ডাক্তারের পরামর্শে ইনসুলিন বা ডায়বেটিস জাতীয় ঔষুধ সেবন করবেন। সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে আপনার শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা কমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। ফলে জীবন ঝুঁকিতে থাকতে পারে৷ যদি দেখা যায়, আপনি রোজা রাখতে পারছেন না সে ক্ষেত্রে ইসলামে বিধান মোতাবেক আপনি রোজা নাও রাখতে পারেন।
লেখক: শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ
সারাবাংলা/এজেডএস