রমজানে কেন বিয়ের আয়োজন হয় না

রমজানে কেন বিয়ের আয়োজন হয় না

তবে হাফসা (রা.) বিবাহ ইবনে আম্মাদ ‘উহুদের যুদ্ধের পূর্বে হিজরি একত্রিশতম মাস শাবান মাসে’ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন, যা আল্লামা তাবারির মতে ‘রমজান মাসে’। আবার শাবান মাসে হলেও মনে রাখতে হবে, এই মাস আয়েশা (রা.)-এর বর্ণনা মতে রমজানের আগে রাসুলের (সা.) সবচেয়ে বেশি রোজা রাখার মাস। এমনকি তিনি এ-মাসে এত বেশি রোজা রাখতেন যে, মনে হতো আর রোজা ভাঙবেন না।

এর মানে এই নয় যে, রাসুল (সা.) কেবল বিবাহের সাধারণ কর্ম সম্পাদন করেছেন, অলিমা বা কোনওরূপ অনুষ্ঠান আয়োজনের করেননি। বরং রাসুল (সা.) বিবাহের পরে অলিমা-উৎসব ত্যাগ করেছেন বলে পাওয়া যায় না। যেমন তিনি বলেছেন, ‘একটি ছাগল দিয়ে হলেও অলিমা কর।’ (বুখারি, হাদিস: ৫১৫৫)

সুতরাং তিনি রমজান মাসেই অলিমার আয়োজন করেছেন। মহানবীর (সা.) দীর্ঘ দিনের সেবক আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, ‘জয়নব (রা.)-কে বিয়ে করার পর রাসুল (সা.) যত বড় অলিমা করেছিলেন, তত বড় অলিমা তিনি তার অন্য কোনও স্ত্রীর বেলায় করেননি।’ (বুখারি, হাদিস: ৫,১৬৮; মুসলিম, হাদিস: ২,৫৬৯)

তিনি আরও বলেন, ‘জয়নব বিনতে জাহাশ-এর বিবাহের অলিমায় রাসুল (সা.) মানুষকে রুটি-গোশত দিয়ে তৃপ্তিসহকারে খাইয়েছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৪,৭৯৪)

নবুয়তির ভারসাম্য ও মধ্যপন্থার এ-হচ্ছে এক উত্তম ও অনুসরণীয় উদাহরণ—যা রাসুল (সা.) মানব জাতির সামনে প্রত্যক্ষ কর্মের মাধ্যমে হাজির করেছেন। রাসুল (সা.) তার জীবনাচারে বাস্তবতাকে স্বীকার করেছেন, সে অনুসারেই আচার পদ্ধতি সাজিয়েছেন এবং লোক-দেখানো, ঠুনকো দুনিয়া ত্যাগী মনোভাব বর্জন করেছেন।

Scroll to Top