আর রিক হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে দুদক বলেছে, তিনি ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিদেশে ২১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয় করেন। পরে দেশে ফিরে এই অর্থ পরিশোধ করেন। এর মাধ্যমে তিনি বিদেশে পাচার করেছেন।
মামলার এজাহারে দুদক বলছে, ব্যাংকের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বোর্ড সভা ছাড়া ক্রেডিট কার্ডের অর্থ ব্যয়ের সীমা বাড়ানোর সুযোগ নেই। তবে আসামিরা রন হককে অবৈধ আর্থিক সুবিধা দেওয়ার জন্য নিয়মবহির্ভূতভাবে ক্রেডিট কার্ডের অর্থ ব্যয়ের সীমা বাড়িয়েছেন। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বরাত দিয়ে দুদক মামলায় উল্লেখ করেছে, থাইল্যান্ডে রন হক ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ২০টি ব্যাংক হিসাবের খোঁজ মিলেছে। এসব হিসাবে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে। ব্যাংকিং নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু রন হক ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক বছরের বেশি সময় বকেয়া পরিশোধ করেননি। বরং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে তিনি খরচ অব্যাহত রাখেন।