স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
দশম বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে জেমি নিশাম ঝড়ে আগে ব্যাটিং করে ১৮৫ রান তুলেছিল রংপুর রাইডার্স। মিরপুরের পিচে এই সংগ্রহকে বড়ই বলতে হবে। তবে তাওহিদ হৃদয় ও লিটন দাসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে কঠিন স্কোর সহজেই পারি দিয়েছে কুমিল্লা।
হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দশম বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা। বিপিএলের সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লা। এর আগে সর্বোচ্চ চারবার ফাইনাল খেলে চারবারই শিরোপা জিতেছে দলটি। আজ পঞ্চম ফাইনাল নিশ্চিত করল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
১৮৫ রানের পুঁজি নিয়ে বোলিং কররে নেমে শুরুতেই কুমিল্লার মেকশিফট ওপেনার সুনীল নারিনকে ফিরিয়ে দেয় রংপুর। বোলিং ইনিংসে সেটাই রংপুরের একমাত্র প্রত্যাশিত ঘটনা। এরপর তাওহিদ হৃদয় ও লিটন দাসের বিপক্ষে রংপুরের বোলারদের কোনো চেষ্টাই কাজে আসেনি।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বোলিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই সুনীল নারিনকে ফেরান বরিশালের আফগান পেসার ফজলহক ফারুকী। তারপরই লিটন-হৃদয়ের অসাধারণ সেই জুটি। হৃদয় ক্রিজে নেমেই সাবলীল ব্যাটিং করেছেন। লিটন শুরুতে খোলসবন্দি থাকলেও উইকেটে সেট হওয়ার পর দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৮৯ বল খেলে ১৪৩ রান তোলেন দুজন। এই জুটিতেই কুমিল্লা ফাইনালের অনেক কাছাকাছি চলে গেছে। তাওহিদ হৃদয় মাত্র ৪৩ বল খেলে ৫টি চার ৪টি ছয়ে ৬৪ রান করে ফিরলে এই জুটি ভাঙে।
কুমিল্লা যখন জয় থেকে মাত্র ৭ রান দূরে তখন লিটন ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৮৩ রান করে। তার ৫৭ রানের ইনিংসে চার মেরেছেন ৯টি, ছক্কা ৪টি। মাঝখানে জনসন চার্লস ৩ বলে ১০, মঈন আলী ৬ বলে অপরাজিত ১২ রান করেন। ১৮.৩ ওভারে জয়ের জন্য ১৮৬ রান তুলে ফেলে কুমিল্লা। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন ফজলহক ফারুকী।
এর আগে রংপুরের ইনিংসটা এগিয়েছে জেমি নিশামের দুর্দান্ত এক ইনিংসের ওপর ভর করে। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে রংপুর শুরুতে দাঁড়াতেই পারছিল না। মেকশিফট ওপেনার শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে নিয়ে ইনিংসের সূচনা করতে নেমেছিলেন রনি তালুকদার।
শামীম রানের খাতাই খুলতে পারেননি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসান তিনে নেমে ধরে খেলার চেষ্টা করে গেছেন। সাকিব সেটাও করতে পারেননি আজ। আন্দ্রে রাসেলের বলে ফিরেছেন ৯ বলে ৫ রান করে। খানিক বাদে অপর ওপেনার রনি তালুকদারও ১৩ রানে ফিরলে বড় বিপদেই পরে রংপুর।
এরপরই জেমি নিশামের আগমন। বিপদে পড়া রংপুরের হয়ে উইকেটে নেমে সাবলীল ব্যাটিং করে গেছেন। তবে ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন ব্যাটে। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বল খেলে ৯৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন নিশাম। কিউই অলরাউন্ডার চার হাঁকিয়েছেন ৮টি, ছক্কা ৭টি।
এছাড়া নুরুল হাসান সোহান ২৪ বলে ৩০ ও শেখ মাহেদি ১৭ বলে ২২ রান করেছেন। কুমিল্লার হয়ে আান্দ্রে রাসেল সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন।
সারাবাংলা/এসএইচএস