ডিপ্রেশনে ভোগার ফলে অনেকে অ্যান্টি ডিপ্রেসিভ মেডিসিন গ্রহণ করা শুরু করেন। কিন্তু ডিপ্রেশন বা হতাশার মূল কারণ না জেনে ওষুধ সেবনের ফলে আরও অনেক জটিলতায় ভুগতে পারেন।
ডা. মেসবাহ উদ্দীন একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘অসংখ্য মানুষের ডিপ্রেশনের যে প্যাটার্ন সেটি থেকে বের হয়ে না আসার অন্যতম কারণ হলো, তারা তাদের ডিপ্রেশনের অথবা অ্যাংজাইটির মূল কারণকে চিহ্নিত করে না। দেখুন আপনি যদি আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে দীর্ঘদিন কনফ্লিক্টের মধ্যে দিয়ে যেয়ে থাকেন, হতে পারে লাইফে নার্সিস্টিক পারসোনালিটি ডিস-অর্ডারের সঙ্গী পেয়েছেন। যে প্রতিনিয়ত আপনাকে কন্ট্রোল করার, দমন করার, অ্যাবিউস করার চেষ্টা করে বা করে যাচ্ছে। ফলে তার সঙ্গে কনফ্লিক্টেড লাইফের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে আপনি বার বার মানসিক চাপের শিকার হচ্ছেন। অর্থাৎ এই কলফ্লিক্টের কারণে আপনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। আর সেই মানসিক চাপের কারণে আপনি অ্যাংজাইটি কিংবা ডিপ্রেশনে ভুগছেন। ’’
ডা. মেসবাহ আরও বলেন, ‘‘ধরুন প্রোফেশনাল লাইফে কনফ্লিক্টেড বসের সঙ্গে আপনার কনফ্লিক্ট চলছে কিংবা আপনার পার্টনারের সাথে কনফ্লিক্ট চলছে সেটা আপনার মানসিক চাপের কারণ হচ্ছে। এই স্ট্রেসের কারণে হয়তো আপনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন। কিংবা আপনি অতীতের কোনো ঘটনা আজও ভুলতে পারছেন না। অতীতের কোনো পেইনফুল মেমোরি যেটা আপনার সাথে হয়েছে, অতীতের কোনো অ্যাবিউস, কোনো বুলিং, কোনো ইভেন্ট এমন হয়েছে যা আপনার মাইন্ডে ভিডিও রূপে, কথার আলোকে কিংবা কোনো ইমেজের আলোকে আপনার সাব-কনসাস মাইন্ডে আজও পড়ে আছে। যেটি প্রতিনিয়ত আপনাকে ট্রিগার করছে, কোনো না কোনো ভাবে আপনি সেটিকে ভুলতে পারছেন না সেই কারণে আপনি বার বার দুশ্চিন্তা করছেন, আপনি স্ট্রেসফুল হয়ে যাচ্ছেন। সেই স্ট্রেস আপনার ডিপ্রেশনের হয়তো কোনো কারণ হয়ে যাচ্ছে।’’
‘‘আপনি দীর্ঘদিন ধরে পেটের সমস্যায় ভুগছেন, হতে পারে ইনফেকশন, ইনফ্লামেশনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন যার ফলে যে হরমোনটি আপনার মেন্টাল স্টেজকে ঠিক রাখে সেটির উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। যার ফলে আপনি হয়তো হতাশায় ভুগছেন।’’—যোগ করেন ডা. মেজবাহ
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ডিপ্রেশন প্যাটার্নে ভুগলে আপনার উচিত একজন মনোবিদের পরামর্শ গ্রহণ করা। কেননা ডিপ্রেশনের প্যাটার্ন বের করে সেটা মোকাবিলা করার জন্য লাইফ স্টাইল সেট করে নেওয়া জরুরি।
আইএ