যে কারণে আপনার দেহে পুষ্টিঘাটতি হচ্ছে

যে কারণে আপনার দেহে পুষ্টিঘাটতি হচ্ছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয়। এছাড়া ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার, ওজন বেড়ে যাওয়াসহ নানা রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সুস্থ থাকতে হলে সঠিক খাবার ও পরিমাণ নির্বাচন করতে হবে।

আমরা অনেকেই না জেনে এমন কিছু খাবার খেয়ে ফেলি, যেগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। গবেষণা বলছে, এই খাবারগুলো মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো নানাভাবে দুর্বল করে দেয়। আসুন জেনে নেই সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-

হোয়াইট ব্রেড নয়

সারাদিনের সতেজতার কারণে দিনের শুরুর খাবারটি গুরুত্বপূর্ণ। সকালের খাদ্যতালিকায় কেউ খান হোয়াইট ব্রেড, কেউ ব্রাউন ব্রেড। হোয়াইট ব্রেডে আঁশের পরিমাণ কম থাকে। তাছাড়া হোয়াইট ব্রেড তৈরিতে ময়দার সঙ্গে চিনি, ডালডা ব্যবহার করা হয়। ফলে অতিরিক্ত ওজন ও ডায়াবেটিস রোগীদের হোয়াইড ব্রেড খাওয়া খুবই ক্ষতিকর।

কর্ণফ্লেক্সের চেয়ে ওটস ভালো

সকালের নাস্তায় কর্ণফ্লেক্স খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। কর্ণফ্লেক্স প্রক্রিয়াজাত খাবার। ফলে এতে পুষ্টিগুণ তেমন থাকে না। বিশেষ করে, ফাইবার একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ কর্ণফ্লেক্স ও দুধে চিনি যোগ করেও খান। এতে শরীরে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।

গবেষণা বলছে, কর্ণফ্লেক্সের পরিবর্তে নাস্তায় ওটস খাওয়া ভালো। এতে ফাইবার থাকে প্রচুর পরিমাণে এবং শরীরে শক্তি যোগায়।

অতিরিক্ত ফ্যাট নয়

দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কম ফ্যাটযুক্ত খাবার রাখুন। এ পর্যায়ে সরছাড়া দুধ, দই, পনির খেতে পারেন। এই খাবারগুলোতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। ফলে তা ওজন বাড়ায় না।

অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত খাবার ওজন দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। আপনার প্রতিবেলার খাবারে কতটুকু ফ্যাট দরকার তা চিকিৎসকের কাছে জানতে হবে। যেমন সকালের নাস্তায় আটার রুটি, সেদ্ধ ডিম, কম তেলে রান্না সবজি খেলে ওজন বাড়বে না। অন্যদিকে পরোটা, লুচি, খিচুরি, মসলাযুক্ত সবজি খাবারে ফ্যাট বেশি। তাই এগুলো খেলে দ্রুত ওজন বেড়ে যায়। তেমনি দুপুরের খাবারে কম তেল-মসলায় রান্না মাছ, মাংস, সবজি ,ডাল খেলে ওজন বাড়বে না। আবার বিরিয়ানি, তেহারি ও ফ্রায়েড রাইসে ওজন বাড়বে। আর ওজন বাড়লে নানা রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

কোল্ড ড্রিংকস অত্যন্ত ক্ষতিকর

তাজা ফলের রসে থাকে নানা ধরনের ভিটামিন, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো শরীরে জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। অথচ ফলের রসের পরিবর্তে কোল্ড ড্রিংকস খেতেই অনেকেই অভ্যস্ত। যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এগুলো নিয়মিত খেলে হার্টের সমস্যা, স্থূলতা, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। মনে রাখা ভালো, জুসের পরিবর্তে গোটা ফল খেয়ে ফেলা ভালো। তাতে পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে।

আমিষ খান পরিমিত

মানবদেহ গঠনের জন্য আমিষ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে পরিমাণের চেয়ে আমিষ বেশি খেলে উপকারের চেয়ে অপকারই হয়। একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দৈনিক ৩০ থেকে ৪৫ গ্রাম আমিষ খাওয়া উচিত। এর মধ্যে ৮৫ গ্রাম আমিষ উদ্ভিজ্জ খাবার থেকে গ্রহণ করতে হবে। যেমন শিম, শাক-সবজি, বাদাম, বীজ ইত্যাদি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত আমিষ বিশেষ করে প্রাণীজ আমিষ খেলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ওজন বেড়ে যাওয়াসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

শারীরিক গঠন, বয়স ও লিঙ্গভেদে মানুষের খাবারদাবারের পরিমাণ নির্ভর করে। আপনার জন্য কোন পুষ্টি উপাদান কতটুকু পরিমাণে দরকার তা চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন।

সারাবাংলা/এসবিডিই

Scroll to Top