যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য বন্ধ করলে আরও বহু মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য বন্ধ করলে আরও বহু মানুষের মৃত্যুর শঙ্কা

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য বন্ধ করলে আরও বহু মানুষের মৃত্যু হবে, সম্প্রতি এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের এইডস বিষয়ক সংস্থার প্রধান উইনি বিয়ানইমা। ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই মার্কিন সাহায্য অনেক কমিয়ে দিয়েছেন।

জাতিসংঘে এইচআইভি এইডস নিয়ে যে সংগঠন কাজ করে তার প্রধান সোমবার (২৪ মার্চ) জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য বন্ধ করে দেয়ায় প্রায় ৬০ লাখ রোগীর মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

;

ইউএনএইডস-এর প্রধান উইনি বিয়ানইমা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় সাহায্যদাতা ছিল। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে কার্যত পুরো সাহায্যই বন্ধ করে দিয়েছে। রিপোর্টারদের তিনি জানিয়েছেন, ২৫ বছর ধরে যে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের রাস্তা তৈরি হয়েছিল, তা কয়েকদিনের মধ্যে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। এমন চলতে থাকলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হবে।

৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

বিয়ানইমা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য যদি অন্য কোনো দেশ বা সংস্থা পূরণ না করে, তা হলে আগামী চার বছরে অন্তত ৬০ লাখ অতিরিক্ত রোগীর মৃত্যু হবে। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এখন যাদের চিকিৎসা চলছে। সাহায্য না পেলে তাদের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, বিয়ানইমার বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য বন্ধ করার পর এখনো পর্যন্ত কোনো দেশ সেই পূরণের আগ্রহ দেখায়নি।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে এইডস রোগে অন্তত ছয় লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আগামী কয়েক বছরে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ নতুন করে এই রোগে আক্রান্ত হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিয়ানইমার আশঙ্কা এমন চলতে থাকলে ১৯৯০ দশকের মহামারির চেহারা নিতে পারে এইডস। বস্তুত, ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল এইডস।

শুধু আফ্রিকা নয়, ল্যাটিন অ্যামেরিকা এবং পূর্ব ইউরোপে এই রোগ আরো ছড়ানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের আধিকারিক। এখন যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আর্জি

এভাবে সাহায্য বন্ধ করার বিষয়টি আরেকবার খতিয়ে দেখার আর্জি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানিয়েছেন বিয়ানইমা। তার বক্তব্য, যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য কমানোর যে কথা বলছে, তা যুক্তিসংগত। কিন্তু এভাবে আচমকা পুরো টাকা বন্ধ করে দিলে কী ভয়ংকর সংকট তৈরি হতে পারে, তা তাদের বোঝা উচিত।

সূত্র: ডয়চে ভেলে (ডিডব্লিউ)।

Scroll to Top