যমজ সন্তানের মা হলেন অ্যাম্বার হার্ড – DesheBideshe

যমজ সন্তানের মা হলেন অ্যাম্বার হার্ড – DesheBideshe


যমজ সন্তানের মা হলেন অ্যাম্বার হার্ড – DesheBideshe

একজোড়া সন্তানের মা হয়েছেন হলিউড তারকা আম্বার হার্ড। গতকাল (১১ মে) রোববার মা দিবসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি এ খবর জানিয়েছেন।

এই হলিউড তারকা জানান, তিনি কন্যা অ্যাগনেস এবং পুত্র ওশেনকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং পরিপূর্ণ পরিবার পেয়ে তিনি এতটাই আনন্দিত যে, ভাষায় তা প্রকাশ করতে পারছেন না।

তিন জোড়া পায়ের একটি ছবি পোস্ট করে সেখানে তিনি লেখেন, ‘নিজের মতো করে, নিজের শর্তে, এবং ফার্টিলিটি-বিষয়ক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও মা হওয়া আমার জীবনের অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা।’

২০২১ সালে প্রথম কন্যাসন্তান উনার জন্ম দিয়েছিলেন ৩৯ বছর বয়সী হার্ড। অভিনেত্রী আরও বলেন, তিনি চিন্তাভাবনা করে এবং দায়িত্বশীলভাবে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি তার পরিবারকে এমন একটি পরিবার হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা তিনি বছরের পর বছর ধরে গড়ে তুলতে চেয়েছেন।

মা দিবসে মায়েদের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ‘আজ আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, যেভাবেই মা হন, আমি এবং আমার স্বপ্নের পরিবার আপনাদের সঙ্গে মা দিবস উদযাপন করছি।’

২০২১ সালে প্রথম মা হওয়ার পর তিনি লিখেছিলেন, তিনি চান সমাজে এটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠুক যে, সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য অনামিকায় আংটির প্রয়োজন হবে না। সে সময় ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, ‘এখন আমি বুঝি, আমাদের নারীদের জন্য নিজেদের ভবিষ্যতের একেবারে মৌলিক দিকটি এইভাবে চিন্তা করাটা কতটা বিপ্লবী একটা ব্যাপার।’

আম্বার হার্ড ‘দ্য রাম ডায়েরি’, ‘ড্রাইভ অ্যাঙরি’, ‘জোম্বিল্যান্ড’ এবং ‘অ্যাকুয়াম্যান’ ছবিগুলোর জন্য অনুরাগীদের কাছে বিশেষভাবে সমাদর পেয়েছেন। তিনি ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অভিনেতা জনি ডেপের সঙ্গে সংসার করেছেন। বিচ্ছেদের পর পরস্পরের বিরুদ্ধে গার্হস্থ সহিংসতার অভিযোগ আনেন তারা এবং দুটি দীর্ঘ ও বহুল আলোচিত মানহানির মামলায় জড়ান।

সেই ঘটনার জের ধরে মনে করিয়ে দেওয়া যাক আরও কিছু তথ্য। ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের ‘ডেপ’ বনাম ‘এনজিএন’ মামলায় জনি ডেপ দ্য সান পত্রিকার বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় হেরে যান, যেখানে হার্ড সাক্ষ্য দিয়ে বলেন যে, জনি ছিলেন ‘স্ত্রী নির্যাতনকারী’।

যুক্তরাষ্ট্রে বহুল প্রচারিত ডেপ বনাম হার্ড মামলায়, জনি ডেপের মানহানির জন্য আম্বার হার্ডকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি আদালতে ছয় সপ্তাহ ধরে এই দম্পতির সাংসারিক বিবাদের শুনানী চলে।

ডেপ তার সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। কারণ আম্বার ওয়াশিংটন পোস্ট-এ একটি মতামতধর্মী নিবন্ধ লিখেছিলেন, যেখানে নিজেকে গার্হস্থ্য সহিংসতার শিকার উল্লেখ করেছিলেন, যদিও ডেপের নাম উল্লেখ করেননি। ঘটনায় হার্ডও পাল্টা মামলা করেন।

আম্বার হার্ডকে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করা জনি ডেপকে বিচারক ক্ষতিপূরণ ও শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১২ মিলিয়ন পাউন্ড) দেওয়ার নির্দেশ দেন।

হার্ড ডেপের বিরুদ্ধে আনা তিনটি পাল্টা অভিযোগের মধ্যে একটি মামলায় জয়ী হন এবং তাকে ২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়।

আইএ/ ১২ মে ২০২৫



Scroll to Top