স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব ছাড়তে চান বলেছেন নাজমুল হাসান পাপন। তবে সহসাই যে সেটা সম্ভব না সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি। পাপন বলেছেন, এ বছরের মধ্যেই বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়ার সম্ভবনা আছে তার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে টানা চতুর্থ মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া পাপন প্রথমবারের মতো জায়গা পেয়েছেন মন্ত্রিসভায়। মন্ত্রীত্ব পাওয়া পাপন বিসিবি সভাপতির পদেও থাকবেন কিনা তা নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। আইন অনুযায়ী দুই পদে থাকতে কোনো বাঁধা নেই। তবে দুটোই যেহেতু বড় দায়িত্ব সেহেতু পাপনের বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়ার কথাই আলোচনা হচ্ছিল। পাপন নিজেও বললেন সেই কথা।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারী) মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন পাপন। শপথ নিতে গিয়েই গণমাধ্যমকে দ্রুত বিসিবি সভাপতির পদ ছাড়ার কথা জানিয়েছেন পাপন।
তিনি বলেন, ‘এটা আসলে কতগুলো নিয়ম-কানুন আছে। আইসিসির কিছু নিয়ম আছে, ইচ্ছা করলেই ছেড়ে দেওয়া যায় না। কারণ আইসিসির কিছু কমিটিতে আছি। আমি আবার চেয়ারম্যানও। সো ওই দায়িত্বগুলো মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ছাড়া যায় না। আমার জানা মতে, এই বছরের শেষে গিয়ে সময় আছে একটা। সে হিসেবে আমাদের সামনের বছরের চিন্তা করতে হবে। তবে আমি চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, যদি পারি ছেড়ে দিব।’
বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়লেও ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে পারবেন না বলেছেন পাপন। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব ছাড়ব, কিন্তু ক্রিকেট আসলে কখনো ভোলার জিনিস না। এটা কখনো ছাড়তে পারব না। সভাপতি না থাকতে পারি, পরিচালক না থাকতে পারি কিন্তু ক্রিকেট নিয়েই থাকব। এটা থেকে বেরুনোর কোনো পথ নেই, ক্রিকেট ছাড়া সম্ভব নয়।’
২০২১ সালের অক্টোবরে চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হন পাপন। চতুর্থ মেয়াদে তার পদের দায়িত্ব শেষ হবে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে। ২০১২ সালে প্রথমবার বিসিবির সভাপতি হয়েছিলেন পাপন। সেই থেকে টানা বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তিনি।
সারাবাংলা/এসএইচএস