ঢাকা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেতাফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চেহারা দেখে লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে পরিবারের সদস্যরা পুড়ে যাওয়া এ দুই ব্যক্তির লাশ শনাক্ত করেছেন। রশিদ ঢালীর মুখের অবয়ব, কোমরে বাঁধা তসবি, হাতের আংটি ও জুতা দেখে স্বজনেরা লাশ শনাক্ত করেন। আর আগুন লাগার পর খোকন মিয়া তাঁর মা ও শিশুসন্তানকে ট্রেন থেকে নিচে নামিয়ে আনেন। পরে মালামাল নামানোর জন্য তিনি আবার ট্রেনে উঠেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে আর বের হতে পারেননি। এই লাশ আর কেউ দাবি করেননি। এ কারণে লাশ দুটি স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে এ অগ্নিকাণ্ডে নিহত নাদিরা আক্তার (৩২) এবং তাঁর তিন বছরের ছেলে ইয়াছিন রহমানের মরদেহ গতকাল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সেতাফুর রহমান আরও বলেন, আজ যে লাশ দুটি হস্তান্তর করা হয়েছে, এর ডিএনএ নমুনা রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে অন্য কেউ যদি লাশ দুটি তাঁদের স্বজনদের বলে দাবি করে, তাহলে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।