মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-গুলিসহ আটক ১

মেহেরপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-গুলিসহ আটক ১

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, দখলদারিসহ আধা ডজন মামলার আসামী তাজুল ইসলাম তাজুকে গ্রেফতার করেছে এলিট ফোর্স র‍্যাব।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সাভারের হেমায়েতপুর যাদুরচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৪ এর একটি দল।

র‍্যাব-৪ এর সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিফ মাহমুদ খান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তাজুল হত্যাসহ অনেকগুলো মামলার এজহারভুক্ত আসামী। তাকে সাভার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। রাতেই তাজুলকে সাভার থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হবে।

র‍্যাব জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাভারের রানা প্লাজার সামনে গত ৫ আগস্ট সকালে বেসরকারি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন হত্যা মামলার (সাভার মডেল থানা) এজহারভুক্ত আসামি তাজুল।

র‍্যাব, থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাভার তেঁতুলঝোড়া ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগ কর্মী তাজুল ইসলাম তাজু। তাকে হেমায়েতপুরের যাদুরচর এলাকার মানুষ চেনে ফেন্সি তাজু নামে। মাদক ছাড়াও অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসার অভিযোগ আছে ফেন্সি তাজুর বিরুদ্ধে।

২০০৫-২০০৬ সালে অস্ত্র ও মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটকের পর দীর্ঘদিন কারাগারে থাকতে হয় তাজুকে। এছাড়াও ২০১৪ সালে অন্য একটি মাদক মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন তিনি।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এলাকার বিভিন্ন শাখা রাস্তা আটকে এবং দোকান থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করছেন তাজুল ইসলাম। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়া অনন্ত ২০-২৫ জনকে পিটিয়ে আহত করেছেন তিনি। এছাড়াও ভাই জহির ও সামসুলের সহযোগীতায় এলাকার ডিস, ব্রডব্যান্ড, ট্রাক, ঠিকাদারি ব্যবসাসহ বিভিন্ন ব্যবসা নিজের দখলে নিয়েছেন।

সরকার পতনের পরও বেপরোয়া তাজুল গত ১৮ আগস্ট এলাকার ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা করেন। এ অভিযোগ সাভার মডেল থানায় তাজুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন আল আমিন নামে এক ব্যক্তি।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেছেন, গত ৭ আগস্ট তাজুল ও তার সহযোগীরা আমার ইন্টারনেটের মেইন সংযোগ বা সাপ্লাই সংযোগের তার ও বক্সগুলো ভেঙে ফেলে। যাতে আমার ইন্টারনেট লাইন সাপ্লাই দেওয়া এবং এর সমস্যা হয় এবং আমি আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ-হই। এই বিষয়ে গত ১৪ আগস্ট মিলিটারি ফার্মে একটি অভিযোগ দায়ের করি। এরপরদিন তাজুল ও তার সহযোগীরা আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমাকে বেধড়ক পিটুনি দেয় এবং প্রায় ৩০ মিনিট আমাকে আটকে রাখে।

Scroll to Top