মেহেরপুরের গাংনীতে পুলিশ পরিচয়ে মোটরসাইকেল ছিনতাই

মেহেরপুরের গাংনীতে পুলিশ পরিচয়ে মোটরসাইকেল ছিনতাই

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাধীন আতুরারডিপো এলাকায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাতে খুন করে ময়মনসিংহে আত্নগোপনে চলে যান অভিযুক্ত সাহেদ আলম প্রকাশ মিয়া (৩৭)। তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় ঘটনার ২০ দিন পর ওই যুবককে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে পুলিশ।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানাধীন মহারাজা রোডস্থ স্বর্ণপট্টি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও পুলিশ বিষয়টি সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন।

গ্রেফতার সাহেদ আলম প্রকাশ মিয়া নগরীর আতুরারডিপো কামরাবাদ এলাকার মো. আনোয়ারের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জায়গা জমির বিরোধের জের ধরে প্রধান অভিযুক্ত মো. সাহেদ আলম ও তার ভাইদের সঙ্গে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর আলম (৩৮), দিদারুল আলম (২৮) ও তাদের বাবা মো. আইয়ুব আলীর (৭৪) ঝগড়া হয়। এসময় ভিকটিম আইয়ুব আলীসহ তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, দিদারুল আলম আসামি মো. সাহেদ আলমের পিতা আনোয়ার হোসেন ও ভাই রাসেল মিয়ার মাথা ফাঁটিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর আসামি মো. সাহেদ ক্ষুদ্ধ হয়ে রাত পৌন ৮টার দিকে একই ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধা মো. আইয়ুব আলীর টিনশেড দোকানের ভেতর ঢুকে তাকে মারধর করে পেটে ও বুকের বামে ছুরিকাঘাত করে খুন করে। এরপর তাকে দোকানের মধ্যে রেখে বাইরে তালাবন্ধ করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় পরদিন ভিটকটিমের ছেলে বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে আসামি সাহেদ আলম আত্মগোপনে চলে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ঘটনার পর বারবার সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেও সাহেদকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছিল না। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিশ্বস্ত গুপ্তচর ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামি সাহেদ ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানা এলাকায় আত্মগোপনে আছে- এমন খবর পাই। পরে থানার একটি বিশেষ টিমের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়।

তিনি আরও জানান, বাবা ও ভাইকে মারধর করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে আসামি সাহেদ বৃদ্ধ আইয়ুবকে ছুরিকাঘাতে খুন করে দোকানের মধ্যে রেখে পালিয়ে যায় বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। আসামিকে সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Scroll to Top