ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো না থাকায় এই ম্যাচ আবদেন হারিয়েছিল আগেই। কেবল লিওনেল মেসির দিকেই চোখ ছিল সবার। কিন্তু সেই মেসিও ছিলেন না একাদশে। কিন্তু মেসি-রোনালদো না থাকলেও ম্যাচে গোলের কোনো অভাব ছিল না। যদিও সব গোলই ছিল একপাক্ষিক। মিয়ামির জালে একে একে ছয় গোল দিয়েছে আল নাসর। এরপর ম্যাচের ৮৩ মিনিটে মেসি নামলেন বটে ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গেছে। আধডজন গোল হজম করে ম্যাচ থেকে অনেক দূরে ছিটকে গেছে মেসি-সুয়ারেজদের মিয়ামি।
কদিন আগেই রোনালদো সৌদি লিগকে ফরাসি লিগের চেয়ে এগিয়ে রেখে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। অনেকেই তখন বলেছিলেন, মেসি খেলে গেছেন বলেই রোনালদো এমন কথা বলেছেন। তাই আজ মেসিদের সামনে সুযোগ ছিল অন্যভাবে রোনালদোর এমন দাবির জবাব দেওয়ার। তবে মাঠে লড়াইয়ে আল নাসরের সামনে দাঁড়াতেই পারল না মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দলটি।
রোনালদো না থাকলেও ম্যাচের মাত্র ৩ মিনিটে ‘সিআর সেভেন’র পর্তুগিজ সতীর্থ ওতাবিওর গোলে এগিয়ে যায় আল নাসর। এরপর ১২ মিনিটের মধ্যে সেই লিডকে ৩-০ করে রিয়াদের ক্লাবটি। ১০ মিনিটে তালিসকা এবং ১২ মিনিটে গোল করেন লাপোর্তা। অর্থাৎ ম্যাচের সময় ১৫ মিনিট পেরোনোর আগেই ইন্টার মায়ামি পৌঁছে যায় খাদের কিনারে। যদিও প্রথমার্ধে লিডটাকে আর বাড়তে দেয়নি তারা।
কিন্তু বিরতির পর ফের দেখা মেলে আল নাসরের রুদ্রমূর্তির । ৫১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চর্তুথ গোলটি করেন তালিসকা। পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন এ ব্রাজিলিয়ান। ৬৮ মিনিটে মোহাম্মদ মারানও গোল করলে ব্যবধান হয়ে যায় ৫-০। আর ৭৩ মিনিটে অর্ধডজনের শেষ গোলটি আসে তালিসকার কাছ থেকে। আর এ গোলের মধ্য দিয়ে নিজের হ্যাটট্রিকও পূরণ করেন তালিসকা।