ঢাকা, ১১ জানুয়ারি – দেশের আর্থিক খাতের প্রধান সমস্যাই এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট ও স্থানীয় মুদ্রার সংকট, বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যহীনতা। এসব সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের।
অনেক সময় নানা কারণে পুরোপুরি তদারকিতে করতেও চাপে পড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বছরে দুবার মুদ্রানীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা রক্ষার চেষ্টা করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী সপ্তাহে ৬ মাসের (জানুয়ারি-জুন) জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হতে পারে। রয়েছে প্রস্তুতিও।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) চূড়ান্ত বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নতুন সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের কারণে চূড়ান্ত বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহের কোনো একদিন চূড়ান্ত বৈঠক হবে। আগামী ১৪ জানুয়ারির পর যেকোনো দিন নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণার দিন ঠিক করা হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, মুদ্রানীতির খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে, নতুন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন বছরের প্রথম ৬ মাসের মুদ্রানীতিতেও নীতি সুদের হার আরও বাড়িয়ে টাকার অবমূল্যায়ন কমানো হবে। এতে সুদহার বেড়ে মূল্যস্ফীতি কমে আসে। আর বাকি নীতি চলবে আগের মতোই।
মুদ্রানীতি চূড়ান্ত করার আগে আগামী শনিবার মুদ্রানীতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। নতুন মুদ্রানীতি কমিটিতে গভর্নর, অর্থনীতিবিদ সাদিক আহমেদ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান মাসুদা ইয়াসমীন অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্য ছিল ‘গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা। আর আগামী জুনের মধ্যে সেটি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ছিল। যদিও গত নভেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়।
এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অন্যতম প্রধান কাজ। এ জন্য ঋণের সুদহার কিছুটা বাজারভিত্তিক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতি সুদের হারও বাড়ানো হয়েছে। ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ করা হয়েছে।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ১১ জানুয়ারি ২০২৪